এনডিটিভি জানিয়েছে, বর্তমানে এই সুবিধার আওতায় বছরে ৫.৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিনাশুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধার আওতায় থাকা তুরস্কের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন মনে করছে, তুরস্ক অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে যাওয়ার শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা এখন আর দেশটির নেই।
বিবিসি লিখেছে, এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নিলেন যখন চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টায় আছে যুক্তরাষ্ট্র। জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রিফারেন্সেস বা জিএসপির আওতায় তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর কিছু নির্দিষ্ট পণ্য বিনাশুল্কে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার পায়।
এই সুবিধা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত ঠিক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। পণ্যের মেধাস্বত্ত্ব নিশ্চিত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ক্ষেত্রেও ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রবেশাধিকারের মত বিষয় থাকে এসব শর্তের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ভারত ও তুরস্ক নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করতে পারছে না।
এনডিটিভি লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি থেকে বিশ্বে যে দেশগুলো সবচেয়ে বেশি সুবিধা পায়, ভারত তার একটি।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস এখন ভারত ও তুরস্ককে এ বিষয়ে নোটিশ দেবে। তারপর দুই মাসের মধ্যে জিএসপি সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।