নুরু বলেন, রোকেয়া হলের আবাসিক মেয়েরা গতকাল রাত ৯টা থেকে অনশনে বসছে, তাদের দাবি- এই হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ, নির্বাচন পুনরায় দেয়া, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা। আমি আমার বোনদের এই চারটি দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বলবো তারা যেনো আমার বোনদের সঙ্গে কথা বলে দাবি মেনে নেন।
ভিপি বলেন, গত রাতে আমার বোনদেরকে হেনস্থা করা হয়েছে। যারা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে এই ধরনের একটি অপসংস্কৃতির চর্চা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে যেনো প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়।
নুর বলেন, আপনারা দেখেছেন, সেই ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা হয়েছে। তিনি মামলা করেননি। মামলা করেছেন অন্য একজন। কিন্তু অবশ্যই তার সঙ্গে যোগাযোগ করে করেছেন। আমি মনে করি শিক্ষক হিসেবে তিনি তার নৈতিকতার পরিচয় দিতে পারেননি। তিনি এই পদে থাকার যোগ্য নয়।
প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি করে দিয়ে ভিপি বলেন, ছাত্রদের দাবানল জ্বলে ওঠার আগেই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এই হলের প্রাধ্যাক্ষকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।
আজকে আমাদের বোনেরা- যারা অনশন করছে তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগেও আমরা দেখেছি, বিভিন্ন আন্দোলনের সময় হুমকি দেয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আনন্দোলনের সময়ও হয়রানী করা হয়েছিলো। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে তার উচিৎ জবাব দিয়েছি।
আমরা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি কথাই বলতে চাই, ছাত্রদের জন্য এই বিশ^দ্যিালয়, সুতরাং ছাত্রদের ওপরে আপনারা কোন স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। তাহলে ছাত্ররা সেটা প্রতিহত করবে।
নির্বাচনের দিনের ঘটনা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, আমরা যখন সেখানে গেছি, দেখতে চেয়েছি কিন্তু তিনি আমাদের দেড়ঘন্টা অপেক্ষা করিয়েছিলেন। ওই সময় পেছনের দরজা খোলা ছিলো। ওই দরজা দিয়ে সিল মারা ব্যালট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা যদি সৎ থাকতো তাহলে কেনো আামাদের দেরি করালো এবং লেডি মাস্তান দিয়ে হামলা করলো। তিনি শিক্ষক হিসেবে থাকার অধিকার হারিয়েছেন।
রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনরতদের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, সত্য কথা বলার জন্য সংখ্যার প্রয়োজন হয় না। গান্ধিজি ছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন। দু’জনও যদি এর প্রতিবাদ করে তার যৌক্তিকতা রয়েছে, দৃষ্টান্ত রয়েছে।
বলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে একটি ছেলে- আখতার হোসেন অনশন করেছিলো। তার আহ্বানেই শিক্ষার্থীরা সাড়া দিয়ে তীব্র আন্দোলন করেছিলো এবং সফল হয়েছেন।
আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করবো তারা দায়সারা বক্তব্য না দিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক রাখতে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিন।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছে না যাওয়া এবং দাবি না মানার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি তাদের শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের দায়িত্বহীনতা। কারণ তারা তাদের একটিবার খোঁজ নিতে পারতেন। প্রাধ্যক্ষ কেনো সৎসাহস নিয়ে তাদের সামনে আসতে পারেননি?