এসময় স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান। শেখ হাসিনাই নারীর ক্ষমতায়নে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সরাসরি জনগণের ভোটে নারী জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পথ সুগম করেছেন। পাসপোর্টে পিতার নামের পাশাপাশি মায়ের নাম অন্তর্ভূক্ত ও পিতা মাতার ভরণ পোষণ আইন বর্তমান সরকার করেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে শুধু শহরেই নয়, উন্নয়ন হয়েছে গ্রামীণ জনপদেও।
দু’দেশের সংসদ সদস্যদের পারস্পরিক সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয়েরই সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে তরুণ সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদদের এক প্রতিনিধিদল অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য ভারতের লোকসভায় যান। ভারতের লোকসভার সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি।
আলোচনাকালে ভারতীয় হাই কমিশনার বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সকল দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। এ সময় তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিনী চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান।
পরে তিনি জাতীয় সংসদের পরিদর্শন বহিতে স্বাক্ষর করেন।