এ সময় আদালত মামলার নথি আসার পর জামিনের বিষয়টি দেখা হবে বলে মন্তব্য করেন। শুনানিকালে আদালত খালেদার আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, অন্য একটি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে তাঁর (খালেদা জিয়ার) পাঁচ বছরের সাজা হয়েছিল। উচ্চ আদালতে এ সাজা বেড়েছে। ওই মামলায় জামিন না হলে তিনি মুক্তি পাবেন না। তাই বিষয়টি জরুরি দেখছি না। নথি আসুক, তখন জামিনের আবেদনটি দেখা হবে।
এর আগে গত ২৩শে এপ্রিল বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করলে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গতকাল আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানির জন্য গতকাল কার্যতালিকায় ওঠে।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খুরশীদ আলম। অপরদিকে আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
এ সময় আদালতে খালেদার পক্ষে আরও ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে বিএনপির আইনজীবীরা আবেদনময়ী কথাবার্তা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের সাজা ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে শুনানিতে বাগবিতণ্ডার কিছু হয়নি। তারা আদালতে রাজনৈতিক মামলা বলতে চেয়েছিল। তারা বলছিল উনি (খালেদা জিয়া) পলিটিক্যাল লিডার, পলিটিক্যাল ভিকটিমাইজ এসব কিছু আবেদনময়ী কথাবার্তা বলেছেন। জামিনের আবেদনের বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিএনপির ৫ জন এই সংসদে যোগ দিয়েছেন। কী জন্য যোগ দিয়েছেন তা আমার জানা নেই। তবে অনেকের মতো আমারও মনে হয় ম্যাডামের জামিনের জন্যই তারা সংসদে যোগ দিয়েছেন। সেজন্য ভেবেছিলাম আজ (গতকাল) ম্যাডামকে আদালত জামিন দেবেন। কিন্তু কেন দিলনা , এ ব্যাপারে আমি নিজেও বিস্মিত।