বিশ্বব্যাপি অস্ত্র বাণিজ্য রমরমা, মধ্যেপ্রাচ্যের দিকে ইসরাইলের নজর

কাজী আবুল মনসুর

দুনিয়াজুড়ে চলছে নানা অস্থিরতা। যুদ্ধে জড়িয়ে বা জড়িয়ে পড়ার আশংকায় কিছু দেশ অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের কারণে সৌদি আরব অস্ত্র কিনছে। পাশাপাশি দক্ষিণ চীন সমুদ্রে চীনের রণসজ্জা অস্ত্র ব্যবসা বাড়াচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ভূউত্তেজনা বৃদ্ধির পাশাপাশি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হওয়ায় অস্ত্র রপ্তানি বাড়ছে বলে ধরে নেয়া হয়। আর এতে স্বভাবতই সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী হিসেবে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। থেমে নেই চীন, রাশিয়া, ফ্রান্সও। ইসরাইলও আগামীতে অস্ত্র বাণিজ্যের শীর্ষ দেশ হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারন এখন শান্তি চুক্তির নামে মধ্যেপ্রাচ্য হাত বাড়িয়েছে ইসরাইল। আর এসব কথিত চুক্তির মূলে রয়েছে অস্ত্র বাণিজ্য।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র বাণিজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গত ২০১৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আর্মস ট্রেড ট্রিটি গ্রহণ করা হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তা কার্যকর হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য হালকা অস্ত্র, মিসাইল লঞ্চার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি এবং হস্তান্তরের বিধিবিধান নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১০০টির বেশি দেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে অথবা এর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। কিন্তু গত বছর এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প মূলত অস্ত্র বিক্রি কমে যাওয়ার কারনে এ কাজটি করে। চীনও এর আগে এ চুক্তির প্রতি নিজেদের সমর্থন থেকে সরে এসেছিল। কিন্তু সম্প্রতি শেষ হওয়া ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির সভায় এ চুক্তিতে যোগ দেয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এটি আইওয়াশ মনে করছেন অনেকে।

যত চুক্তি হোক না কেন বিশ্ব ব্যাপি অস্ত্র বাণিজ্য থামবে না। লাভ যে বেশি। আমেরিকা তো এখন বাণিজ্য ঘাটতি পুষিয়ে নিতে অস্ত্র বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগে দেশের অর্থনীতি নিয়ে বেশ তৎপর।  এরই মধ্যে ট্রাম্প জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরবের মতো মিত্র দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি পরিমাণে অস্ত্র কেনার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। হালে শুরু হয়েছে ইসরাইলকে নিয়ে আমেরিকার কুটনীতি। আরব দেশগুলোর সাথে চলছে কথিত শান্তি চুক্তি।মনে করা হচ্ছে এর নেপথ্যে রয়েছে অস্ত্র ব্যবসা।  অস্ত্র কেনাবেচার জন্য এ পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক অস্ত্র আমিরাতে আসার পথ সুগম করার জন্য এ কান্ড চলছে।

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির আর্মস এন্ড সিকিউরিটি প্রোগ্রামের পরিচালক উইলিয়াম হার্টাং বলেছেন, এই চুক্তির মূলে রয়েছে অস্ত্র বিক্রি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিভিন্ন প্রকার  যুদ্ধবিমান, সামরিক সরঞ্জাম, ড্রোন কিনতে চাইছে অনেকদিন ধরে।  ইসরায়েল এর জন্য আমেরিকা তা দিতে পারছিল না। এখন আমেরিকা বা ইসরাইল দু’দেশের অস্ত্র যাবে মধ্যেপ্রাচ্যে।

বিশ্বে অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে এখনও আমেরিকা অন্যতম। তাদের মূল ব্যবসাই হচ্ছে অস্ত্র বাণিজ্য। অস্ত্র বিক্রির পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে শতকরা প্রায় ৪৫ ভাগ বেশি অস্ত্র বিক্রি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। টাকার অংকে প্রায় ৭৫০০ কোটি ডলার। ইউএস ফরেন মিলিটারি সেলস প্রোগ্রামের ফোরম অন দ্য আর্মস ট্রেডের (এফএটি) হিসাবে দেখা গেছে বিগত সময়ের তুলনায় এটি বেড়ে চলেছে। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা সমানে কিনছে অস্ত্র। গত ক’বছর ধরে এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২০১৮ সালে যেখানে বিক্রির পরিমান প্রায় ১২০০ কোটি ডলার, সেখানে ২০১৯ সালে  তা উন্নিত হয়েছে ২৫০০ কোটি ডলারে।  সবচেয়ে মজার বিষয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মরক্কো সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে।  আমেরিকা থেকে ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত কিনেছে প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনেছে।ইসরাইলের চুুক্তি হওয়া বাহরাইন কিনেছে প্রায় ৩৩৮ কোটি ডলারের অস্ত্র। আর কাতার কিনেছে ৩০০ কোটি ডলারের অস্ত্র এবং সৌদি আরব  ২৮০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। বাহরাইন  এখন সৌদি আরবকে অনুসরণ করতে চায়।  ট্রাম্প প্রশাসন এরই মধ্যে এফ -১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। আর বাহরাইনে ঢুকবে এখন যুদ্ধ বিমানটি । হার্টাং এর মতে,, বাহরাইনের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে মানবাধিকারের প্রতি কোনো শর্ত ছাড়াই।

মূলত বিশ্বব্যাপি অস্ত্র বাণিজ্য সবচেয়ে লাভজনক। বছরের পর বছর ধরে এর ব্যাপ্তি বেড়ে চলেছে। স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর থেকে যে কোন পাঁচ বছর মেয়াদের তুলনায় ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশী অস্ত্র ব্যবসা হয়েছে। এই সময় ধরে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশ তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি বেশী জোর দেয় এবং এক্ষেত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপমুখী হয়। স্টকহম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) জানায়, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র রফতানির প্রায় ৪৩ শতাংশ এশিয়া ও ওশেনিয়া মহাদেশের দেশগুলোতে করা হয়। আগের ২০০৭ থেকে ২০১১ সাল মেয়াদের তুলনায় এটি ৭.৭ শতাংশ বেশি ছিল। ২০১৫ সালে সারাবিশ্বে মোট ৮০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি হয়েছে, আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৮৯ বিলিয়ন ডলার। সরবরাহকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফ্রান্স বিক্রি করেছে ১৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র; যা ২০১৪ সালের তুলনায় ৯ বিলিয়ন ডলার বেশি।
উন্নয়নশীল দেশগুলোই ছিল অস্ত্রের মূল ক্রেতা। এর মধ্যে কাতার সবচেয়ে বেশি ১৭ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে ২০১৫ সালে। মিশর ১২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনতে চুক্তি করেছে। পিছিয়ে ছির না সৌদি আরবও,  তারা এ খাতে ব্যয় করেছে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অস্ত্র কেনার তালিকায় এরপরের দেশগুলোর নাম দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ইসরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরাক।
অন্যদিকে বিক্রির তালিকায়, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের পর আছে রাশিয়া ও চীনের নাম। পরের স্থানগুলোতে আছে সুইডেন, ইতালি, জার্মানি, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল। রাশিয়া গত বছর ১১ দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে; এর বেশিরভাগ কিনেছে ভেনিজুয়েলা। ২০১৪ সালে অস্ত্র বিক্রি খাতে রাশিয়ার আয় ছিল ১১ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার। চীন বিক্রি করেছে ছয় বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র। কয়েক বছরের ব্যবধানে তা বেড়েছে কয়েকগুন।
নেটো জোটের বন্ধু দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদনে তাদের আধিপত্য বজায় রেখেছে; এর মধ্যে জার্মানি উন্নততর নৌ সরঞ্জাম আর যুক্তরাজ্য আধুনিক যুদ্ধবিমানের উৎপাদন বাড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাজারজাত করছে। অবশ্য বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব বজায় থাকায় অস্ত্র কেনাবেচায় একটি বড় অংশ বাকিতে চলছে। অভ্যন্তরীণ বাজেট ঘাটতিতে উদ্বিগ্ন অনেক দেশই নতুন অস্ত্র কেনার ইচ্ছা বাদ দিয়েছে বা কমিয়ে এনেছে। কিছু কিছু রাষ্ট্র কেবল বিদ্যমান অস্ত্রের আধুনিকায়ন, প্রশিক্ষণ ও পরিসেবা সহায়তার মধ্যেই তাদের সামরিক বাজেট সীমাবদ্ধ রেখেছে। তবে এশিয়ায় বেড়েছে অস্ত্রের আমদানি।
অস্ত্রের বাজারে সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক হিসেবে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। বড় ক্রেতা হিসেবে এগিয়ে রয়েছে সৌদি আরব, ভারত, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।  শিয়া ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের যে হামলা চলছে, তাতে এ জোটকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। সংস্থা জানায়, বিশ্বের ৯৬ দেশে যায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র। এ দেশগুলোর কাছে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রি করে এবং কখনো কখনো সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়।এদিকে সামরিক অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে ভারতকে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে সৌদি আরব। ইয়েমেন এবং সিরিয়াতে যে যুদ্ধ চলছে, মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ দেশই সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইরানের সঙ্গেও এই দেশগুলির সম্পর্ক বেশ উত্তপ্ত। তাই অস্ত্রের চাহিদা সেখানে বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে নিজেদের অস্ত্র আমদানির পরিমাণ ২১২ শতাংশ বাড়িয়েছে সৌদি আরব।
স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তিবিষয়ক সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে সৌদি আরব। তার পরেই রয়েছে ভারতের স্থান। যদিও তার আগের বছর অস্ত্র আমদানিতে ভারতই শীর্ষে ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সৌদি আরব। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শুধু ভারত বা সৌদি আরব বলে নয়, আরও কিছু দেশ অস্ত্র কেনার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালে অস্ত্র কিনতে মোট ৩ হাজার ১৬১ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে সৌদি আরব। সেখানে ভারত কিনেছে ৩ হাজার ৭৮ মিলিয়নের অস্ত্র। যদিও তার আগের বছর ৩ হাজার ৪৮৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করে অস্ত্র আমদানিকারী দেশের তালিকায় ভারত শীর্ষে উঠে এসেছিল। ভারতের এ অবস্থা দেখে পাকিস্তান চীনের প্রতি হাত বাড়িয়েছে। চীন থেকে বিগত কয়েক বছর ধরে নানা অস্ত্র ঢুকছে পাকিস্তানে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় সেনার আধুনিকীকরণে ২৫ হাজার কোটি ডলার খরচের পরিকল্পনা নিয়েছেন। চীন এবং পাকিস্তানের মতো দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই ভারতকে অস্ত্র আমদানিতে জোর দিতে হচ্ছে। গোটা এশিয়ায় চীন আধিপত্য বিস্তার করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা ভারতকে বাধ্য করছে নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা দ্রুত বাড়ানোর পথে হাঁটতে।
এদিকে সমরাস্ত্র আমদানিতে ভারতের চিরবৈরী পাকিস্তানও একধাপ পিছিয়ে দশে রয়েছে। ২০১৫ সালে অস্ত্র ক্রয়ে মোট ৭৩৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে পাকিস্তান। ভারতের আর এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনও কিন্তু অস্ত্র আমদানি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করা দেশগুলোর তালিকার চতুর্থ স্থানে ছিল চীন। ১ হাজার ২১৪ মিলিয়ন ব্যয় করে সপ্তম স্থানে তারা নেমে গেছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর দু’দেশ এখন যুদ্ধংদেহী অবস্থায়। অন্যদিকে, বরাবরের মতো পাকিস্তানের পাশে রয়েছে চীন। আবার কিছু দেশ আছে যারা ভারত-পাকিস্তান দু’দেশকেই অস্ত্র সরবরাহ করে। এসব দেশ হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, ইউক্রেন ও ব্রাজিল। অথচ পাকিস্তান এবং ভারত হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশী দেশ। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে রাজনৈতিক মিত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে ভারত আমেরিকার সমর্থন পেয়ে থাকে। অন্যদিকেপাকিস্তানকে সঙ্গী হিসেবে নিয়েছে চীন। বিশ্বের অন্যতম দুই প্রধান অস্ত্র রফতানিকারক দেশ ফ্রান্স ও রাশিয়া ভারত-পাকিস্তানে অস্ত্র রফতানির দিকটাই প্রধানত বিবেচনায় নেয়। তবে অন্য প্রধান অস্ত্র রফতানিকারী দেশগুলো দু’দেশকেই অস্ত্র দিতে আগ্রহী নয়।
দ্য স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, তুরস্ক, সার্বিয়া, চীন ও জর্ডান শুধু পাকিস্তানকে অস্ত্র দেয়। এসব দেশ ভারতকে অস্ত্র দিতে রাজি নয়। অন্যদিকে, ইসরাইল, কানাডা, স্পেন, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পোল্যান্ড, কিরগিজিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া শুধু ভারতকে অস্ত্র দেয়; পাকিস্তানকে দেয় না।
পৃথিবী জুড়ে অস্ত্র ব্যবসার মূল টার্গেট হচ্ছে মানুষ। মূলত মানুষ মানুষকে ধংব্স করার জন্য আধুনিক অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ###১৮.৯.২০

অস্ত্রঅস্ত্র বাণিজ্যআমেরিকাচীনরাশিয়া
Comments (০)
Add Comment