ঋতু বদলের এ সময় ছোট্ট সোনামণির গোসল

ঋতু বদলের এ সময় ছোট্ট সোনামণির গোসল নিয়েও অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। কখন, কীভাবে গোসল করালে আদরের সন্তান সুস্থ থাকবে, এসবও থাকে ভাবনার বিষয়…

শিশুকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গরমের সময়টায় নিয়ম মেনে গোসল করানো উচিত। শীতকালে ঘন ঘন গোসল না করালেও চলে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুদের গোসলের কয়েকটি কার্যকরী ধাপ সম্পর্কে…

নবজাতকের জন্য :
আদরের সন্তানকে গোসল করানোর আগে যিনি গোসল করাবেন, তার হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। সব ঋতুতে নবজাতক শিশুকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করান। পূর্ণ গর্ভকাল পেরোনো শিশুর ৩ থেকে ১৫ দিন বয়স পর্যন্ত সপ্তাহে ১ দিন গোসল করানো ভালো। ১৫ দিন বয়স পর হলে গরমের সময় তাকে প্রতিদিনই গোসল করানো যায়। আবার একদিন পর পর করালেও ক্ষতি নেই। পূর্ণ গর্ভকাল পার না হলে নবজাতকদের সপ্তাহে ১-২ দিন গোসল করাতে হবে। তবে খুব বেশি সময় নবজাতককে পানিতে না রাখাই ভালো।
গোসলের প্রথমেই বাথটাবে বা বোলে কুসুম গরম পানি তৈরি রাখুন। প্রয়োজনে দেখে নিন পানি শিশুর জন্য সহনীয় কিনা। আদরের সন্তানকে গোসল করানোর আগে যিনি গোসল করাবেন, তার হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত।
গরমের সময় শিশুকে প্রতিদিন গোসল করিয়ে পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। শীতে ঠাণ্ডার প্রকোপ বেশি হলে ২-১ দিন বিরতি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন। তবে গোসল না করালেও মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে মুছে দিন।
গোসলের আগে শিশুর জামাকাপড় খুলে, মলমূত্র থাকলে তা পরিষ্কার করে তারপর শিশুকে বাথটাবে বা বোলে নামান। গোসলের পানিতে সামান্য অন্টিসেপটিক ডেটল বা স্যাভলন দিতে পারেন।
শিশুর বয়স ১৫ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার ত্বকে কোনো ধরনের তেল, লোশন বা পাউডার লাগানো ঠিক নয়। গোসলের আগে বা পরে তেল মালিশ করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই।
উপযোগী সাবান ব্যবহার করলে শিশুর ত্বক শুষ্ক হয় না। তাই রোজ সাবান লাগাতে পারেন। শিশুর উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহারেও কোনো বাধা নেই।
প্রতিদিন শিশুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে গোসল করানো ভালো। এক্ষেত্রে দিনের বেলা শিশুর গোসলের জন্য আদর্শ সময়। তবে যে বেলাতেই গোসল করান না কেন, অবশ্যই কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।
গোসলের পর শিশুর ত্বকের যত ও পরিধান করানোর জন্য সাজিয়ে রাখুন শিশুর শুকনো জামা, প্যান্ট বা ডায়াপার, তেল, বেবি পাউডার, চুল আঁচড়ানো নরম দাঁতের চিরুনি।

Comments (০)
Add Comment