বানরের কারণে বিয়ে হচ্ছে না মেয়েদের!

মেয়ে দেখতে ভাল। পড়াশোনাও করেছে। বাড়ির কাজকর্ম অল্পবিস্তর জানে। মেয়ে যেমন রাজি বিয়ে করতে, তেমন আবার মত রয়েছে পরিবারেরও। বিয়ের প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি নেই। তা সত্ত্বেও বিয়ে হচ্ছে না গ্রামের তরুণীদের। কারণ তাদের বিয়েতে বাধ সাধছে শুধুমাত্র একদল বানর। ভারতের পাটনা শহর থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোজপুরের রতনপুর গ্রাম। রাস্তাঘাট মোটের ওপর মন্দ নয়। উন্নতির আলো এক্কেবারে পৌঁছায়নি, তাও বলা যাবে না। তবে এই গ্রামে মূল সমস্যা বানর। প্রায়শই এলাকায় তাণ্ডব চালায় তারা। গ্রামবাসীদের কাছে ত্রাস বানর। আঁচড়ানো, কামড়ানোর মতো অত্যাচারের ঘটনা লেগেই আছে। গ্রামের লোকেরা আতঙ্কে প্রায় কাঁটা হয়েই থাকেন। বুঝে শুনে পা ফেলেন গ্রামবাসীরা। বাইরে থেকে আসা লোকজনেরা যদিও এতো কিছু জানেন না। তাই আচমকাই গ্রামে এসে একবার হামলার শিকার হন একদল মানুষ। তারা গ্রামে এসেছিলেন বরযাত্রী হিসাবে। হইচইয়ের ফলে বিরক্ত হয় বানর। একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ে বরযাত্রীদের উপর। বানরের হামলায় পণ্ড হয়ে যায় বিয়ে। জখমদের তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় হাসপাতালে। নিহত হন অনেকেই। ওই ঘটনার পর থেকে রতনপুর গ্রামে ছেলের বিয়ে দিয়ে আর বিপদ ডেকে আনতে চান না কেউই। তাই নিরুপায় অবস্থা কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাদের। তাদের বক্তব্য, ‘কেউ বরযাত্রী নিয়ে আসতে রাজি হচ্ছেন না। তাই আমাদের মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। ওরা কুমারী থেকে যাচ্ছে।’ বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা। মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাধ্য হয়ে বনদপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। কবে বানরের কবল থেকে মুক্তি পায় গ্রাম, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

Comments (০)
Add Comment