কাজী আবুল মনসুর ##
প্রায় এক মাস যুদ্ধ শেষে আন্তর্জাতিক চাপের মূখে অবশেষে যুদ্ধবিরতি করতে সম্মত হয়েছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এরই মধ্যে প্রাণ গেছে ৪০০ মানুষের। গৃহহারা হয়েছেন অনেকে। তারপরও বিতর্কিত নর্গনো-কারবাখ নিয়ে এ দু’দেশের মধ্যে শান্তি আসবে কিনা যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। রাশিয়া, ফ্রান্স এ যুদ্ধ বন্ধের জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। বিশেষ করে ফ্রান্স দু’দেশের নেতাদের সাথে দফায় দফায় অালোচনা চালিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া যুদ্ধে নিজেদের দুরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। অপর দিকে আজারবাইজানকে সহায়তা করার জন্র এগিয়ে আসে তুরস্ক। এমনকি ইসলাইলও যখন আজারবাইজানের পক্ষে অবস্থান নেয় তখন আর্মেনিয়া কার্যত পিছু হটে। আর্মেনিয়া তাদের মিত্র রাশিয়াকে পারোক্ষভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানায়। যাতে যুদ্ধ আর তরান্বিত না হয়।
রাশিয়া তাদের শীর্ষ কূটনীতিক সের্গেই লাভ
এদিকে লাভেরব বলেছেন, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে মূল আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে ।মিনস্ক গ্রুপ আলোচনার মধ্যস্থতা করবে। যুদ্ধ বিরতি চুক্তি কার্যকর না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর্মেনিয়ার সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে আজারবইজান তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ককে সম্ভাব্যভাবে দাঁড় করিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং আমেরিকা সবাই যুদ্ধ বন্ধের জন্য আহবান জানিয়েছে। ফ্রান্স, রাশিয়া এবং আমেরিকার নেতৃত্বে গঠিত মিনস্ক গ্রুপের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার প্রস্ততিও চলছে।
আজারবাইজান এখনও সংশয়যুক্ত
শুক্রবার আলোচনা চলার সাথে সাথে আজারবাইজানীয় রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভ দেশীয় টেলিভিশনে একটি বক্তব্য দেন। তিনি আলোচনার বিষয়ে সন্দিহান বলে উল্লেখ করে বলেন, প্রায় তিন দশকের আন্তর্জাতিক আলোচনায় এক ইঞ্চি অগ্রগতিও হয়নি। আজারবাইজানকে এক ইঞ্চি জমিও ফেরত দেয়া হয়নি। ### ১০.১০.২০