আন্তর্জাতিক সংবাদ ##
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগদিরি অঞ্চলে মোতায়েন আজারবাইজানের বাহিনীর সফল অভিযানে আর্মেনিয়ার ৭৭তম পৃথক সাঁজোয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল নেলসন হাকোপজানিয়ান নিহত হয়েছেন। এছাড়া আজারবাইজানের রাজধানীর বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখ এর নিকট লাচিন ও শুশার মাঝামাঝি রাস্তায় চৌকি স্থাপন করেছে বলে জানা গেছে। এর ফলে রাজধানী স্টিফানাকার্ট ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নিয়ন্ত্রণ আজারবাইজানের হাতে চলে যাবে। রাজধানীকে অবরুদ্ধ করার অংশ হিসেবে এই সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই চলছে বলে জানা গেছে।
আজারবাইজান আরও বলছে, তারা আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর ১০ম মাউন্টেন রাইফেল ডিভিশনের বেশ কিছু ট্যাঙ্ক নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়র বরাত দিয়ে সেদেশের ট্রেন্ড বার্তা সংস্থা মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) এ খবর জানায়। বার্তা সংস্থার খবরে আরও বলা হয় ৩য় বারের মত যুদ্ধবিরতির মাঝেও আর্মেনিয়ার বাহিনীর হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে আজারবাইজান। সব ফ্রন্টেই পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে।
আর্মেনিয়ার বাহিনী ২২ শে সেপ্টেম্বর বড় ক্যালিবার অস্ত্র, মর্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে আজারবাইজান সেনাবাহিনীর অবস্থানগুলিতে আক্রমণ শুরু করে। আজারবাইজান পাল্টা আক্রমণে আর্মেনিয়ার দখল থেকে তার অঞ্চলগুলি মুক্ত করার জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছে।
১৯৮৮ সালে আর্মেনিয়া আজারবাইজানের কাছ থেকে নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল দাবি করলে দক্ষিণ ককেশাসের দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরবর্তীতে যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বাহিনী নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল এবং আশেপাশের সাতটি জেলা সহ আজারবাইজানের ২০শতাংশ অঞ্চল দখল করেছে।
১৯৯৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরে শান্তি আলোচনা হয়। আর্মেনিয়া নাগরনো কারাবাখ এবং আশেপাশের জেলাগুলি থেকে সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের চারটি প্রস্তাব এখনও কার্যকর করেনি।###