আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের কোভিড-১৯ করোনা মোকাবেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ পেলেন পাকিস্তানের করাচিতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন নাগরিক ডা: উমায়ের এ. শাহ । করোনা ভয়াবহ মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত ডাঃ উমাইর এ শাহকে রাষ্ট্রের কোভিড -১৯ কৌশল পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করেছেন ওয়াশিংটন গভর্নর জে ইন্সলি। ওয়াশিংটনের গভর্ণরের কার্যালয় প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন ও পাকিস্তানের পত্র-পত্রিকা ও ২০ নভেম্বর আরব নিউজে তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত সংবাদটি প্রকাশিত হয় । গত বুধবার ওয়াশিংটনের গভর্নর জে ইন্সলি তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁর নিয়োগকালে বিবৃতিতে বলেছেন, “ডাঃ শাহ জনস্বাস্থ্যে তার দীর্ঘদিনের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন। “আমাদের কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ওয়াশিংটনকে এগিয়ে নেবে”।
জনস্বাস্থ্যে তাঁর কাজ ছাড়াও ডা. শাহ হিউস্টনের ভেটেরান্স হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে গত ২১ বছর ধরে জরুরি ওষুধ অনুশীলন করেছেন। ওয়াশিংটনে ডা. শাহ এমন একটি সংস্থার তদারকি করবেন যার দুই বছরের বাজেট হচ্ছে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার। রোগ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এজেন্সিটির বিস্তৃত কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে পানীয় জলের গুণমান, খাদ্য সুরক্ষা, তামাক এবং বাষ্প প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য পেশাদার প্রমাণীকরণ এবং টিকাদান প্রচারের তদারকি। গভঃ জে ইনসিলি’র কার্যালয় থেকে এ সংবাদ জানানো হয়।
শাহ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে (হিউস্টন) জনস্বাস্থ্যের পরিচালক । তিনি বিদায়ী স্বাস্থ্য সচিব জন উইজম্যানের স্থলাভিসিক্ত হবেন। ডা: শাহ তার নিয়োগের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “নিঃসন্দেহে, আমার এখন প্রথম অগ্রাধিকার কাজ হচ্ছে কোভিড -১৯ এর মোকাবেলার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই দলের সাথে কাজ করা এবং এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে ওয়াশিংটনবাসীদের সহায়তা করা।”
ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ড. শাহ টোলেডো হেলথ সায়েন্স সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল ডিগ্রি এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ সায়েন্স সেন্টার থেকে জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে স্নাতকোত্তর । এর আগে ড. শাহ টেক্সাসের গ্যালভাস্টন কাউন্টি স্বাস্থ্য জেলার প্রধান মেডিকেল অফিসার এবং কাউন্টি এবং নগর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি কাশ্মীরের ভূমিকম্প ত্রাণ দলের সদস্য হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে কাজ করেন।