শেখ হাসিনার ভারত ছাড়ার গুঞ্জন

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি শেষপর্যন্ত ভারত ছেড়ে গেছেন। এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। এমনকি ভারতের গণমাধ্যমগুলো সত্যিটা জানার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কারও মতে, তিনি রবিবার মধ্যরাতে আরব আমিরাতে আওয়ামী লীগ নেতা শামিম ওসমানের বাসায় উঠেছেন। তবে এখনও এ খবরের সত্যতা জানা যায় নি। বিশেষ করে আমেরিকা ভারতের কাছে  শেখ হাসিনার অবস্থান জানতে চাওয়ার পর ভারত নড়েচেড়ে বসে বলে জানা গেছে। যুক্তরাস্ট্র সরকার ভারতের কাছে শেখ হাসিনার ব্যাপারে জানতে চাইলে জবাবে ভারত বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ভারত ছাড়েন বলে গুঞ্জন উঠে।

তবে ঠিক কবে নাগাদ তিনি আরব আমিরাতে পৌঁছান তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। সম্প্রতি আরব আমিরাতে দেখা যায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনা তার কাছে আছেন। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন। ইতোমধ্যে ভারতে শেখ হাসিনা প্রায় ২ মাস ধরে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি কোন স্ট্যাটাসে দেশটিতে অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার নয়। ভারতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি খোলাসা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওই দিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খুন, গুম ও গণহত্যার নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। হত্যার অভিযোগে ১৩ আগস্ট (বুধবার) থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত ২২০টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৮৮টি মামলায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তাঁর সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) বিভিন্ন পেশার লোকজনকে আসামি করা হয়েছে।##