-- বিজ্ঞাপন ---

ছয় মিনিটের জন্য রোগীকে মৃত করে অপারেশন, অতঃপর প্রাণ ফিরে আসা, এও কি সম্ভব?

0

মৃতদেহে প্রাণ ফিরে আসার খবর অহরহ শুনা যায়। কিন্ত কাউকে কয়েক মিনিটের জন্য মৃত বানিয়ে আবার দেহে প্রাণ ফিরিয়ে আনার বিষয়টি শুনা যায় নি কখনও। এমনটি ঘটেছে ভারতের লখ্নওতে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে জানা যায়, লখনউয়ের হাসপাতাল মিরাকেল করলো! কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চিকিৎসকরা ৬ মিনিটের জন্য রোগীকে মৃত করে অপারেশন, অসম্ভবকে সম্ভব করলেন!

এক বছর আগে হৃদযন্ত্রের ২টি ভালভ বদল করা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু ১ বছরের মধ্যেই তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে চিকিৎসকের কাছে হাজির হন। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন হৃদযন্ত্রের ভালভের একটি অংশে একটি ছোট্ট ফুটো তৈরি হয়েছে। যা দ্রুত বুজিয়ে ফেলতে হবে। নাহলে জীবন সংশয় হতে পারে।
কিন্তু এ এমন এক অপারেশন যে মনে হবে ছোট্ট অপারেশন, কিন্তু এই ফুটো বোজাতে গেলে যে কোনও সময় রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এখানেই চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন মৃত্যু হওয়া রুখতে রোগীকে কিছুক্ষণের জন্য মেরে ফেলতে হবে। এটা কোনও অ্যানাস্থেসিয়া নয়। প্রকৃত অর্থেই মৃত করে দিতে হবে রোগীকে।

এই পদ্ধতিতে রোগীর দেহের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমিয়ে তাঁর শরীর মৃতের মত ঠান্ডা করে ফেলা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় রক্ত সঞ্চালন। ওষুধ দিয়ে মস্তিষ্ককেও অচল করে দেওয়া হয়। শরীরের তাপমাত্রাকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা হয়।
রোগীকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের মাপকাঠিতে মৃত করে ফেলতে হয়। একে বলা হয় ডিপ হাইপোথার্মিক সার্কুলেটরি অ্যারেস্ট বা ডিএইচসিএ। এই পদ্ধতিতে পা দেওয়া মানে কার্যত রোগীকে মেরে ফেলা। সেটাই করেন লখনউয়ের কিং জর্জেস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চিকিৎসকেরা। এই প্রথম এই হাসপাতালে এমন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হল।
ছয় মিনিটের জন্য ২৮ বছরের যুবতী আশাকে এভাবে মৃত করে ফেলা হয়। তারপর ওই ৬ মিনিটকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত অপারেশন সেরে ফেলেন চিকিৎসকেরা। তারপর ফের আশার দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ##সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.