বেপরোয়া বাইকারদের থামাতে চালক, অভিভাবক, বিআরটিএ, আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনা রোধে সকলের প্রতি এ অনুরোধ জানান।
এসময় তিনি বলেন স্বল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য মোটরসাইকেল একটি জনপ্রিয় বাহন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার পুরুষরা উল্লেখযোগ্য হারে এ বাহন ব্যবহার করছে। সম্প্রতি নারীরাও এ বাহনে চলাচলে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। মূলত স্বল্প খরচে দৈনন্দিন কার্যাদি সম্পাদনের জন্য কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাপকহারে মোটরসাইকেলের চলাচল বেড়েছে। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে বর্তমানে এ বাহনটি স্বাক্ষাত মৃত্যুদূতের মতো আবির্ভূত হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে গত কয়েক মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার একটি বিশাল অংশ হচ্ছে কিশোর বয়সের। যাদের অধিকাংশই ১৮ বছরের নীচে। তাছাড়া দুর্ঘটনার পাশাপাশি বাইকাররা যান ও জন চলাচলে বিরক্তির সৃষ্টি করে। চলাচলের ফুটপাতে একের পর এক মোটরসাইকেল নিয়ে উঠে যায়। পথচারীদের থামিয়ে দিয়ে উচ্চ শব্দে হর্ন বাজিয়ে চলাচল করে বেপরোয়া বাইকাররা। তাদের এই চলাচলের কারণে সমস্যায় পড়তে হয় অন্যান্য যানবাহনের চালকদের। এই বাইকাররা কোনো রকম ট্রাফিক সিগন্যালের পরোয়া করে না। সুযোগ বুঝেই দ্রুত সিগন্যাল অমান্য করে ছুটে যায়। এভাবে সড়কজুড়ে বাইকাররা নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী বেপরোয়া গতিতে বাইক চালায়। বাইকারদের কারণে রাস্তায় হঠাৎ করে গাড়ির ব্রেক কষতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে অন্য যানবাহনগুলো। খোঁজ নিলে জানা যাবে এসব বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালকদের অধিকাংশেরই নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। তারপরও প্রতিনিয়ত সড়ক দাপিয়ে বেড়ায় তারা।