--- বিজ্ঞাপন ---

ভালো মনের মানুষ ছিলেন সাংবাদিক আতাউল হাকিম

0

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)’র সাবেক সভাপতি আতাউল হাকিমের শোক সভায় সাংবাদিক ও বক্তারা বলেছেন, কীর্তিমান সাংবাদিক নেতা আতাউল হাকিম তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে সাংবাদিকদের সংগঠিত করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বপালনকালীন বর্তমান প্রেস ক্লাব ভবনের মূল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। আধুনিক চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বিনির্মানে অনেক শ্রম ও মেধা দিয়েছেন। চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের বৃহৎ স্বার্থে তিনি আজীবন কাজ করেছেন।
গত ৩০ জুলাই মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টায় নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বেলা সাড়ে এগারটায় আয়োজিত শোকসভায় মরহুম সাংবাদিক আতাউল হাকিমের সহকর্মী সাংবাদিকগণ তাঁর সাথে কর্মময় জীবনের নানা স্মৃতি উত্থাপন করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক আতাউল হাকিম নীতি-আদর্শে অবিচল থেকে সারাজীবন সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি শুধু সাংবাদিকই নন, তিনি ছিলেন খ্যাতিমান রম্যসাহিত্যিক ও সংগঠক । তাঁর লেখনীতে তিনি হাসি-ঠাট্টাচ্ছলে সমাজের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছেন সাবলীলভাবে। বহুগুণের অধিকারী আতাউল হাকিম মমত্ববোধ ও সাংগঠনিক দৃঢ়তা দিয়ে সবার মন জয় করেছেন। একজন নীতিবান, সৎ ও নির্লোভ, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিষ্টভাষী ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের নেতৃত্বস্থানীয় সংগঠন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে তিনি সামাজিক ও সাংগঠনিক ক্ষেত্রে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

গতকাল (সোমবার) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।

প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস বলেন, আমাদের অগ্রজ সাংবাদিকদের কর্মকান্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। মতপার্থক্য থাকলেও নিজেদের ঐক্য ঠিক রাখতে হবে। আতাউল হাকিম তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন পারিচালনা করেছেন।

প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রূপালী ব্যাংকের পরিচালক আবু সুফিয়ান বলেন, সভাপতির দায়িত্ব পালনকালীণ সময়ে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জন্য যে কী পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেক সাংবাদিক এ বিষয়ে অবগত নন। আমি তাঁর সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এগুলো স্বচক্ষে দেখেছি।

প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার বলেন, আমার সাংবাদিকতার প্রথম শিক্ষক ছিলেন আতাউল হাকিম। তাঁর সাথে কাজ করার মজাই ছিল আলাদা। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিও তিনি সাবলীলভাবে মোকাবেলা করতে দেখেছি।

শোকসভায় স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈনুদ্দিন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, শহীদ উল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রউফ, বিএফইউজে’র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ, প্রবীণ সাংবাদিক ইসকান্দর আলী চৌধুরী, জাহিদুল করিম কচি, মঈনুদ্দীন কাদেরী শওকত, এস এম আতিকুর রহমান, সুলতান আহমদ আশরাফী, ওমর কায়সার প্রমুখ।

পরিবারের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেন মরহুমের ছোট ভাই রেজাউল হাকিম এবং মরহুমের একমাত্র ছেলে রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী। এসময় প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, কার্যকরী সদস্য, ম. শামসুল ইসলাম. স ম ইব্রাহীম, কাজী আবুল মনসুর, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সবুর শুভসহ অনেক প্রবীণ সাংবাদিক এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.