--- বিজ্ঞাপন ---

মার্কিন নৌবাহিনীর স্পেশাল নেক্সট জেনারেশন ‘ওরকা’ অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভ্যাসেল

0

সিরাজুর রহমান, ‍বিশেষ প্রতিনিধি##

মার্কিন নৌবাহিনীর স্পেশাল নেক্সট জেনারেশন ‘ওরকা’ অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভ্যাসেল (এএলএইউভি) :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল ফোর্স সাম্প্রতিক সময়ে নতুন প্রজন্মের একটি “ওরকা” নামক এক্সট্রা লার্জ অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভেইকল (এএলএইউভি) বা মানববিহীন রোবোটিক মিনি সাবমেরিন হাতে পেয়েছে। মূলত মার্কিন এভিয়েশন জায়ান্ট বোয়িং কর্পোরেশন তাদের উচ্চ প্রযুক্তির এই রোবোটিকস সাবমেরিনের প্রথম ইউনিট ইউএস নৌবাহিনীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর সম্পন্ন করেছে। তাছাড়া চুক্তি মোতাবেক আরো ৪টি একই জাতীয় এডভান্স কমব্যাট রোবোটিকস মিনি সাবমেরিন ইউএস নেভাল ফোর্সের জন্য তৈরি করবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এই মিনি রোবটিকস সাবমেরিনকে সাগরের বুকে মিশন পরিচালনা করতে গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রণ করার কোন প্রয়োজন হবে না। কার্যত মানুষ্যবিহীন এই রোবটিক সাবমেরিনটি শত্রুর অবস্থান সনাক্ত বা নজরদারি করার পাশাপাশি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শত্রু পক্ষের সাবমেরিন এবং ব্যাটল শীপে কিংবা ভূমি ভিত্তিক কোন সামরিক স্থাপনায় ভয়ঙ্কর হামলার উপযোগী করে বিশেষভাবে ডিজাইন করেছে মার্কিন বোয়িং কর্পোরেশন।
‘ওরকা’ মিনি রোবোটিকস সাবমেরিন কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কমাণ্ড এবং নিজস্ব সফটওয়্যার কোডিং সিস্টেম ব্যবহার করে সমুদ্রে টহল থেকে শুরু করে একেবারে যুদ্ধক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রু পক্ষের হামলা ও অগ্রযাত্রা রুখে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে মার্কিন নৌবাহিনী। বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমোবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তৎপরতার যোগ্য জবাব দিতে খুব সম্ভবত আসন্ন ২০২৪ সালের শুরু থেকেই সুবিশাল প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে এটিকে নামানো হতে পারে।
মার্কিন নৌবাহিনী প্রাথমিকভাবে মানববিহীন এরুপ পাঁচটি ‘ওরকা’ এক্সট্রা লার্জ আননেইমড আণ্ডারসী ভ্যাসেলস (এক্সএলইউইউভি) রোবটিক সাবমেরিন তৈরির জন্য মার্কিন এভিয়েশন জায়ান্ট বোয়িং কর্পোরেশনের সাথে ২৭৪.৪০ মিলিয়ন ডলারের এক চুক্তি সম্পন্ন করেছিল ২০১৯ সালের দিকে। ৫১ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘ওরকা’ রোবটিক সাবমেরিনকে মাইন কাউন্টারমেজারস, এন্টি-সাবমেরিন ওয়ারফার, এন্টি সারফেস ওয়ারফার, ইলেকট্রনিক্স ওয়ারফার এবং কমব্যাট স্টাইক মিশনের জন্য বিশেষ উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
এই সাবমেরিনে একটি হাইব্রিড ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহারের পাশাপাশি শক্তিশালী লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। এর ম্যাক্সিমাম স্পীড প্রতি ঘন্টায় ১৫ কিলোমিটার এবং ম্যাক্সিমাম রেঞ্জ ১০,৫০০ কিলোমিটার। এটি কিন্তু একাধারে কয়েক মাস পর্যন্ত সাগরের বুকে লুকিয়ে গোপন মিশন পরিচালনা করতে পারবে। মনে করা হয়, মার্কিন নৌবাহিনী ইতোমধ্যেই হয়ত এর বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ গোপন মিশন শেষ করেছে।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.