--- বিজ্ঞাপন ---

হাইপারসনিক মিসাইল টেস্ট করলো উত্তর কোরিয়া

0

সিরাজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি#
গত ২০২০ সাল থেকে সারা বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে হাইপারসনিক মিসাইল বা এরিয়াল সিস্টেম তৈরির এক অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতায় রাশিয়া, চীন, ভারত, আমেরিকার পাশাপাশি অবিশ্বাস্যভাবে সামিল হয়েছে ইরান ও অতি দরিদ্র দেশ উত্তর কোরিয়া। মনে করা হয় যে, বর্তমানে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৪ হাজারের কাছাকাছি বিভিন্ন সিরিজের মিডিয়াম ও লং রেঞ্জের ব্যালেস্টিক মিসাইলের বিশাল মজুত রয়েছে।
আর গত ২রা এপ্রিল মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এই ছিল মূলত ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জের ম্যাক ৬ থেকে ৮ গতি সম্পন্ন (Hwasong-16) হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক মিসাইল। উত্তর কোরিয়ার মিডিয়ায় এটি ১ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের বলা হলেও মিসাইলটি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যবর্তী ৬০০ দুরুত্বে এসে সাগরে পতিত হয় বলে নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
দেশটি গত ২০২৩ সাল থেকে চলতি ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত একেবারে নিজস্ব প্রযুক্তির হাইপারসনিক গতির বেশ কয়েকটি ব্যালেস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। তার পাশাপাশি দেশটির কাছে আনুমানিক ৩০টি থেকে ৫০টি স্বল্প সক্ষমতার নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড থাকতে পারে বলে আশাঙ্খা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একাধিক সামরিক থিংক ট্যাংক। যদিও এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার তরফে কখনোই তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করা হয়নি।

জানা গেছে, হাইপারসনিক বুস্ট গ্লাইড ওয়েপন্স হচ্ছে এমন এক এরিয়াল সিস্টেম যার নিজস্ব কোন এয়ার লঞ্চ করার সক্ষমতা নেই। এটিকে মূলত ফাস্ট স্টেজে ব্যালেস্টিক মিসাইল দ্বারা নিক্ষেপ করা হয়। এটি সুনির্দিষ্ট উচ্চতায় ও দুরুত্ব অতিক্রম করার পর গ্লাইড ভেইকলস মিসাইল থেকে আলাদা হয়ে আবার সুনির্দিষ্ট টার্গেটে হাইপারসনিক গতিতে ছুটে যায়। আসলে এ ধরণের ফ্লাইট পাথকে ডিপ্রেসড বা স্কিপ-ট্রাজেক্টরি বলা হয়। যা কিনা বর্তমানে প্রচলিত থাকা শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দ্বারা এটিকে আকাশ পথে ইন্টারসেপ্ট বা প্রতিহত করা এক কথায় অসম্ভব বলা চলে।
সূত্র মতে, হাইপারসনিক বুস্ট গ্লাইড ওয়েপন্স ডিজাইন ও পরীক্ষামূলক ব্যবহারে সফল দেশ হচ্ছে রাশিয়া, চীন, ভারত, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। এমনকি বিশ্বের এক নম্বর সামরিক সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিগত এক দশক থেকে হাইপারসনিক মিসাইল সিস্টেম তৈরির চেষ্টা করলেও এ পর্যন্ত মোট আট বার ব্যার্থ হয়েছে। তবে তারা কিন্তু এখনো পর্যন্ত হাল ছেড়ে দেয়নি।
কার্যত গত ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার তৈরি এক হাজার মাইল রেঞ্জের এজিএম-১৮৩এ হাইপারসনিক মিসাইলটি প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটির কারণে অষ্টম বারের মতো পরীক্ষামূলক ফ্লাইট টেস্টে সফল হতে পারেনি। যার ফলে হাইপারসনিক গতির প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এ প্রজেক্ট বাস্তবায়নে মার্কিন প্রশাসন অনেক আগেই ৫ বিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ বরাদ্দ দিয়ে রেখেছে।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.