--- বিজ্ঞাপন ---

ট্রাম্প চাইছে তালেবানের সাথে চুক্তি, রক্তক্ষয়ী জঙ্গী হামলা বন্ধ হবে কি?

কারা এ তালেবান

0

হঠাৎ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প আফগানিস্তান ভ্রমন গেলেন। সেখান থেকে হাজার হাজার মার্কিন সৈন্য সরিয়ে নিতে আগ্রহী ট্রাম্প। একই সাখে তালেবানদের সাথে বৈঠক করারও ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। বিবিসি জানিয়েছে, থ্যাংকস গিভিং ডে উপলক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আফগানিস্তান সফর। বাগরাম বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সেনাদের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করেন। নিজের সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তালেবানের সঙ্গে আগের আলোচনায় আমরা তাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও তারা রাজি ছিল না, কিন্তু এখন তারা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এর আগে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, মার্কিন সৈন্য ও তালেবান বিদ্রোহীদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রও আফগানিস্তান থেকে ধাপে ধাপে সৈন্য কমানোর ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ওই একই ঘাঁটিতে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আফগানিস্তানে ১৩ হাজার সৈন্য আমেরিকা মোতায়েন করে।

কারা এই তালেবান ? কি তাদের ইতিহাস। 

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’র সৃষ্ঠি কট্টরপন্থী তালেবান জঙ্গিরা। ১৯৮০ সালের শুরুতে সোভিয়েত রাশিয়াকে রুখতে সিআইএ-ই তালেবানদের অস্ত্র সাহায্য দেয়। ১৯৮৭ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে বছরে ৬৫ হাজার টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবানরা যে সিআইএ’র সৃষ্টি তা স্বয়ং রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ডন রোহরাবেচার বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছেন। যিনি একটা সময় এই তালেবান জঙ্গিদের সাথে সময় কাটিয়েছেন। এমনকি অস্ত্রধারী তালেবান জঙ্গিদের সাথে তার ছবি বিভিন্ন ওয়েব সাইটে দেখতে পাওয়া যায়। এই রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান তার মুখেই স্বীকার করেছেন যে, ‘তালেবানরা সিআইএ কর্তৃক গঠিত এবং তাদের অস্ত্র সরবরাহও করেছে সিআইএ।’ গত ২০০৯ সালের ৭ই অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন তার বক্তব্যে স্পষ্ট করে দেন তালেবানরা এবং ওসামা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি এবং তারা যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অস্ত্র সাহায্য লাভ করত। ২০০১ সালের ৭ মার্চ ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’তে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়, ‘জঙ্গি সংগঠন তালেবানদের তৈরি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। এই কট্টর মৌলবাদীদের আফগান ক্ষমতায় আনার জন্য ১৯৯৪ থেকে ৯৬ পর্যন্ত প্রায় ৩ বিলিয়ন অর্থ ব্যয় করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি।’ আরো উল্লেখ্য মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের সাথে হোয়াইট হাউসে তালেবান নেতাদের গোপন বৈঠকের ছবি ও টেক্সাসে বুশের খামার বাড়িতে তালেবানদের বেড়াতে যাওয়ার ইতিহাস বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

নেতৃত্বে মোল্লা ওমর

মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিশাল অঞ্চলজুড়ে তৎপরতা চালানো প্রধান জঙ্গি সংগঠন তালেবানের আধ্যাত্মিক নেতা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের কার্যত প্রধান ছিলেন তিনি। তাকে বলা হতো সরকারের সর্বোচ্চ পরিষদের প্রধান। তালেবান শাসিত ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানে আমির উল মুমেনিন (বিশ্বাসীদের নেতা) বলে মানা হতো তাকে। পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও তাকে ও তার সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মোল্লা ওমর প্রথম অস্ত্র ধরেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। নেক মোহাম্মদের নেতৃত্বে মুজাহেদিন গ্রুপ হরকাত-ই-ইনকিলাব-ই-ইসলাম এ যোগ দেন তিনি। সোভিয়েতদের সমর্থনে ক্ষমতায় থাকা নজিবুল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধে চারবার আহত হন ওমর। সোভিয়েত বিরোধী আফগান যুদ্ধে পানজোয়াই জেলার সাংসারে এক সংঘর্ষের সময় তিনি এক চোখ হারান। অন্য এক সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে জালালাবাদ যুদ্ধে তিনি চোখ হারান। এরপর যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানের সীমান্ত শহর কোয়েটায় একটি মাদ্রাসাতে শিক্ষকতা করেন ওমর। তখন থেকে তিনি মোল্লা নামে পরিচিত। পরে তিনি করাচিতে বিনুরি মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আর সেখানেই প্রথমবারের মতো ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার, পরে ঘনিষ্টতা। বিখ্যাত মিশরীয় ইসলামী ব্যক্তিত্ব শেখ আব্দুল­াহ আজ্জামের একজন বড় ভক্ত তিনি।

১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিলে দুর্বল নজিবুল্লাহ সরকারের পতন ঘটে ১৯৯২ সালে। এরপরেই আফগানিস্তান জুড়ে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা আর নৈরাজ্য। আফগান মুজাহিদিন বিভিন্ন দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে যায়। ওই সঙ্কট মুহুর্তে মোল্লা ওমর সিঙ্গেসরে ফিরে আসেন। প্রায় অর্ধশত মাদ্রাসাছাত্র নিয়ে একটি সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। এ দলটিই তালেবান (ছাত্র) নামে পরিচিত। সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করা হতো আফগানিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং শরণার্থী শিবির থেকে। গৃহযুদ্ধের সময় ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলায় খুব শিগগির দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তালেবান। ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে কান্দাহার প্রদেশ এবং পরের বছর সেপ্টেম্বরে হেরাত দখল করে নেয় তালেবান। তালেবানের কর্মী-সমর্থক দিন দিন বাড়তে থাকে। আফগানিস্তানের অনেক এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে সমর্থকরা ওমরকে আমির-উল-মুমেনিন (বিশ্বাসীদের নেতা) উপাধিতে ভূষিত করে। এরপর ১৯৯৬ সালে তার হাতে কাবুলের পতন ঘটে। ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে আফগানিস্তানকে ইসলামি রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়। আরব দেশের মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পাকিস্তান তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। যদিও তখনও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গৃহযুদ্ধ চলছিল। ওমরের একটি বিখ্যাত উক্তি এখানে উলে­খযোগ্য; তিনি বলতেন, ‘সব তালেবানই প্রগতিশীল। দুইটি বিষয়: চরমপন্থা এবং রক্ষণশীলতা। এ দুটি থেকে আমরা মুক্ত। এর ভিত্তিতে আমরা সবাই প্রগতিশীল, মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী।’ পরবর্তীতে আফগানিস্তানে ২০০১ সালের অক্টোবরে ইঙ্গ-মার্কিন যৌথ সামরিক আক্রমণ শুরু হলে মোল্লা ওমর আত্মগোপন করেন। এরপর তার অবস্থান সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হতো, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের পশতুন উপজাতি এলাকায় তিনি আত্মগোপন করে আছেন। তার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য দাতাকে এক কোটি ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। শেষপর্যন্ত খবর বের হয়, মার্কিন সেনাদের নাকের ডগায় ১২ বছর নিশ্চিন্তে অবস্থান করেছেন মোল্লা ওমর। তাঁর মৃত্যুও হয়েছে স্বাভাবিক।
নেদারল্যান্ডসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বেট্টে ড্যামের ‘সার্চিং ফর এন এনিমি’ বইয়ে চাঞ্চল্যকর্থ্যেএ তথ্য প্রকাশিত হয়।   অথচ ওয়াশিংটন বিশ্বাস করত, মোল্লা ওপর পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে নতুন এই জীবনীগ্রন্থে বলা হচ্ছে, মোল্লা ওমর তাঁর নিজ প্রদেশ জাবুলে অবস্থিত একটি বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে তিন মাইল দূরে বসবাস করতেন। ২০১৩ সালে মৃত্যু অবধি সেখানেই ছিলেন তিনি। তিনি পরিবারের কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন না। আর কাল্পনিক ভাষায় দিনপঞ্জিতে নোট লিখে রাখতেন। বইটি লিখতে প্রায় পাঁচ বছর গবেষণা করেছেন ড্যাম। তিনি মোল্লা ওমরের দেহরক্ষী জাব্বার ওমারির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মোল্লা ওমর। সে সময় থেকে তালেবান নেতার দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করেন জাব্বার ওমারি। ২০১৩ সালে অসুস্থ হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তালেবান নেতাকে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন ওমারি।

পাকিস্তান চাইছে তালেবানের সাথে আমেরিকার চুক্তি হোক

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টিকে আছে তালেবানদের সমর্থনে। আমেরিকার সাথে তালেবানের একটি চুক্তি হলে তার সিংহাসন আরও মজবুত হবে এ আশায় পাক প্রধানমন্ত্রী চাইছে যথাশীঘ্র একটি চুক্তি হোক। পাকিস্তানি তালেবান সাধারণভাবে তেহরিক-ই-তালেবান নামে পরিচিত। ২০০৭ সালে এ জঙ্গি সংগঠনটি সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশ করে। বায়তুল্লাহ মেহসুদ এই জঙ্গি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯৬ সালে আফগান প্রেসিডেন্ট বোরহান উদ্দিন রাব্বানিকে হটিয়ে সেখানে তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। তালেবানের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়া পাকিস্তানি উপজাতীয় নেতারা তখন আফগান সীমান্তবর্তী পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে এসে কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে ওয়াজিরিস্তান টিটিপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ২০০১ সালে ‘টুইন টাওয়ার’ হামলার পর আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর তালেবান যোদ্ধাদের আরো অনেকেই পাকিস্তানে চলে আসেন। মার্কিন চাপের মুখে ২০০৩-০৪ সালে ওয়াজিরিস্তানে টিটিপিকে দমনে অভিযান শুরু করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এরপরই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় টিটিপি। নিয়মতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে পাকিস্থানে ‘ইসলামি শাসন’ প্রতিষ্ঠারও ঘোষণা দেয় তারা। ২০০৯ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় বায়তুল্লাহ মেহসুদ নিহত হলে টিটিপির নেতৃত্বে আসেন হাকিমুল্লাহ মেহসুদ। পরের বছরের সেপ্টেম্বরে টিটিপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে পেশোয়ারের ‘অল সেইন্ট চার্চে’ আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ১২০ জনকে হত্যা করে টিটিপি। একই বছরের নভেম্বরে মার্কিন ড্রোন হামলায় টিটিপি প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদ প্রাণ হারান বলে খবর রটে। তবে খবরটি ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেয় টিটিপি। তবে হাকিমুল্লাহ মেহসুদকে ওই ঘটনার পর আর কোথাও দেখা যায়নি। এরপর থেকে মূলত মাওলানা ফয়জুল্লাহর নেতৃত্বে চলছে টিটিপি।
পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগ যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন নওয়াজ শরিফ শপথ গ্রহণের পরেই তালেবানদের দমনের ঘোষণা দিয়ে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তালেবানদের হামলায় বহু হতাহতের ঘটনায় তার এ ঘোষণায় তালেবান বিরোধী পাকিস্তানীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছিল। এদিকে দেশজুড়ে তালেবান তাদের ‘অস্তিত্ব’ বুঝালেও, আফগানিস্তান সীমান্ত ঘেঁষা খাইবার পাখতুনখোয়া, উত্তর ওয়াজিরিস্তানেই তাদের প্রভাব বেশি৷ পেশোয়ার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী৷ ঘটনা হলো, এই অঞ্চল প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা, অধুনা রাজনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘তেহরিক-ই-ইনসাফ’-এর শক্ত ঘাঁটি ৷ খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তাদেরই সরকার৷ পাকিস্তান তালেবানের প্রতি কোনো অজ্ঞাত কারণে ইমরান নাকি নরম মনোভাব পোষণ করেন৷ এতটাই যে, তাকে নিন্দুকেরা তার নাম দিয়েছেন ‘তালেবান খান’৷
তালেবান, আল কায়দা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন প্রসঙ্গে পাক সেনাবাহিনীর একটা নীতি আছে। আফগানিস্তানে, কাশ্মিরে নিজেদের জমি পেতে বারবার জঙ্গি গোষ্ঠিগুলোকে প্রকারান্তরে মদত জুগিয়েছে পাক সেনাবাহিনী এবং তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। কাশ্মীর, মুম্বাই, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদে তালেবানকে কাজে লাগিয়েছে আইএসআই।এসব জঙ্গী সংগঠন সৃষ্টির পেছনে আমেরিকার সিআইএ’র হাত রয়েছে। আমেরিকা এদের বানায়, আবার এদের মারে। আবার সমঝোতা চুক্তিও করে। এ কেমনতর রাজনীতি বা আমেরিকান নীতি সাধারন মানুষ বুঝে না। সাধারন মানুষই এদের শিকার হন। প্রতিদিন পাকিস্তান, আফগান, ইরাক, সিরিয়াজুড়ে এদের হামলার শিকার হয়ে সাধারন মানুষের লাশ পড়ে থাকে।  ফলে আমেরিকা যা চাইছে তাতে কি শান্তি ফিরে আসবে। বন্ধ হবে কি রক্তাক্ত যুদ্ধ। ঘুরেফিরে এ প্রশ্নই দেখা দিচ্ছে সবার মাঝে।## ১.১২.১৯

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.