--- বিজ্ঞাপন ---

পাকিস্তানে ১৪ বছরের এক খৃষ্টান মেয়েকে অপহরণের পর মুসলিমের সাথে বিয়ে

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার

0

পাকিস্তানের করাচর  জিয়া কলোনীতে বসবাসকারী ১৪ বছর বয়সী এক  খ্রিস্টান মেয়েকে অপহরণ করে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত রির্পোটে বলা হয়েছে, তার নাম হুমা ইউনুচ। তাকে অপহরণের পর একজন মুসলিম ব্যক্তির সাথে বিয়ে দেয়া হয়। ঐ মেয়েটি বেচেঁ আছে কিনা সংশয়ে রয়েছে তার পরিবার।

সিবিএন নিউজ সূত্রে জানা যায়, হুমা ইউনুসকে অক্টোবরে তার বাড়ি করাচি থেকে তিন ব্যক্তি অপহরণ করে। যুবতী মেয়েটিকে জোর করে তার বাড়ী থেকে ৩৭০ মাইল দুরে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শহর ডেরা গাজী খান এলাকায় নেয়া হয়। মেয়েটির বাবা-মা মেয়েকে পুনরুদ্ধার করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে করলেও তাদের ডাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ উঠে।  স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে নীরব ভুমিকা পালন করে। খ্রিস্টান টুডেতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়,  প্রথমে সিটি পুলিশ মেয়েটির অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ধরণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল, পরে নানা চাপে মেয়েটির বাবা-মার কাছ থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযোগটি গ্রহণ করেন।

ওয়েবসাইটে হুমার বাবা-মা অপহরণকারীদের কাছ থেকে তার ইসলাম গ্রহণ এবং বিবাহের শংসাপত্রের কাগজপত্র সহ কিছুদিন আগে অপহরণকারীদের কাছ থেকে নথি পেয়েছিল বলেও জানায়। মেয়ের মা নাগিনা বলেছেন, কাগজপত্রগুলি ভুয়া। কারণ নথিপত্রের তারিখটি সেদিনের নয় যেদিন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। “এটি ভূয়া  এবং জাল বলে  এশিয়া নিউজকে হুমার মা জানান। হুমার বাবা-মা  সিন্ধু প্রদেশের বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত ১১ নভেম্বর তাদের মেয়ে আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাজির হননি। “তিনি এখনও বেঁচে আছেন কিনা তা আমরা জানি না,” তার বাবা-মা গণমাধ্যমকে উল্লেখ করেন।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমিশন ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস (এনসিজেপি) ও সে দেশের খৃষ্টান সম্প্রদায়, পাকিস্তান সরকার ও আদালতগুলিকে এই ধরনের অপহরণ রোধ করতে এবং দায়ীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচারে আনার করার দাবী জানায়। স্থানীয় খ্রিস্টান অ্যাটর্নি তাবাসসুম গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই মামলাটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সামগ্রিকভাবে আপত্তিজনক। “এই ধর্মান্ধ কাজগুলি আন্তঃবাদী সম্প্রীতির ধারণার পরিপন্থী এবং সমাজের বহুসংস্কৃতির বৌদ্ধিকতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধকে হুমকিস্বরূপ। সংখ্যালঘুরা গভীরভাবে আহত বোধ করে,” তিনি বলেছেন, ইউনূস পরিবারের করুণ ঘটনাটি পাকিস্তানে অস্বাভাবিক নয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিশ্চিয়ান কনসার্নের মতে, এই বছরের প্রথম নয় মাসে পাকিস্তানে খ্রিস্টান মহিলাদের ও মেয়েদের বিরুদ্ধে অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, ধর্ষণ ও লাঞ্ছনার ৩৪ টি ঘটনা ঘটেছে যা এদেশের খ্রিস্টান নারীদের ব্যাপক দুর্বলতার চিত্র প্রদর্শন করে।###৬.১২.১৯

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.