--- বিজ্ঞাপন ---

পাচঁ মিনিটে ইসরাইলের দু’শহরে ১৩৭ টি রকেট হামলা চালালো হামাস

0

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র ফুজি বারহুম বলেছেন, বোমার জবাব বোমা দিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিরোধ সংগ্রামীরা বিন্দুমাত্র পিছু হটবে না। তিনি আরো বলেছেন, বোমার পরির্তে ইটপাটকেল নিক্ষেপের দিন বহু আগে শেষ হয়ে গেছে; এখন ইসরাইলির শত্রুর সঙ্গে কথা হবে শক্তির ভাষায়।

হামাসের মুখপাত্র মঙ্গলবার গাজায় আরো বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিরোধ সংগ্রামীদের সঙ্গে যুদ্ধের ময়দানে পেরে না উঠে গাজার আবাসিক এলাকা এবং অবলা নারী ও শিশুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

বারহুম বলেন, প্রতিরোধ সংগ্রামীরা ফিলিস্তিনি জাতির জাতীয় স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ সংগ্রাম শক্তিমত্তার সঙ্গে অব্যাহত থাকবে। তিনি তেল আবিবকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যুদ্ধের ক্ষেত্রে নিজের হিসাব-নিকাশ পুনর্মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান’’ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইহুদিবাদী ইসরাইলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে ব্যাপকভাবে রকেট হামলা চালিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে হামাসের এই হামলা আরো বাড়বে।

ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরাইলের আশদোদ এবং আসশকেলন শহরে হামাস ব্যাপকভাবে রকেট হামলা চালিয়েছে। এ দুটি শহর গাজা উপত্যকার উত্তরে অবস্থিত।

হামাস বলেছে, মাত্র পাঁচ মিনিটে এই দুই শহরে ১৩৭টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “দুই শহরের বিরুদ্ধে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছি আমরা।”ইসরাইলের ইংরেজি দৈনিক জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই ইসরাইলি নিহত ও ৭০ জন আহত হয়েছে।

এর আগে, ইহুদিবাদী সেনাদের জঙ্গিবিমান গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণে বোমাবর্ষণ করে যাতে অন্তত ২৬ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যার মধ্যে নয়টি শিশু রয়েছে।হুদিবাদী ইসরাইলের দক্ষিণ অংশে নতুনকরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ বসিয়েছে দখলদার সেনারা। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ব্যাপক সংখ্যায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে এই আশঙ্কায় আয়রন ডোমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

এসব তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ। পত্রিকাটি আরও লিখেছে, ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ইহুদিবাদী সেনার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বায়তুল মুকাদ্দাসে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দখলদার ইসরাইল।

এছাড়া, পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তিনিরা অভিযান চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দখলদার সেনারা। এ কারণে সেখানে তাদের পূর্বনির্ধারিত প্রশিক্ষণ কোর্স স্থগিত রাখা হয়েছে।

সোমবার গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরাইলের একটি অনাবাসিক এলাকায় আঘাত করেছে। এরপর দখলদার বাহিনীও গাজার দক্ষিণে হামলা চালায়। গত কয়েক দিন ধরেই বায়তুল মুকাদ্দাসে মসজিদুল আকসা ও এর আশেপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইহুদিবাদী বাহিনী। এর ফলে বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। সূত্রঃ পার্স টুুডে

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.