--- বিজ্ঞাপন ---

লতা মঙ্গেশকরের প্রথম ইনকাম ২৫ টাকা, মৃত্যুকালে তিনি ছিলেন ৩৭০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক

0

ভারতীয় উপমহাদেশের সুরসম্রাজ্ঞী এই লতা মঙ্গেশকর আজ প্রয়াত হলেন। টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার সকাল সোয়া আটটার দিকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরে তৎকালীন ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর একজন মারাঠি ও কোঙ্কিনী সঙ্গীতজ্ঞ এবং মঞ্চ অভিনেতা ছিলেন। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবথেকে বড় লতা (Lata Mangeshkar)। সালটা ১৯৪২। লতার বয়স যখন মাত্র ১৩। তখন তাঁর বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নবযুগ চিত্রপট সিনেমা কোম্পানির মালিক মাস্টার বিনায়ক (বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি) ছিলেন মঙ্গেশকর পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনিই লতাকে গায়িকা হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করতে সাহায্য করেছিলেন। প্রথম লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) একটি মারাঠী ছবিতে তাঁর কণ্ঠ দেন। যদিও তাঁর সেই গান প্রকাশিত হয়নি। শেষ মুহূর্তে ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় সেই গান। তবে জীবনের প্রথম গানের জন্যে তিনি পেয়েছিলেন ২৫ টাকা। বর্তমানে তিনি প্রায় ৩৭০ কোটির মালিক। শুধু কয়েকশো কোটি টাকা নন লতা (Lata Mangeshkar) ছিলেন গাড়ীর সৌখিন।

বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বর্তমানে লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) মাসিক আয় ছিল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। বছরে পেতেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। সেই অর্থ আসত তাঁর গানের রয়্যালিটি থেকে। কোনও কোনও রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ‘নাইটেঙ্গল অফ ইন্ডিয়া’র সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা। কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেছেন, তিনশো কোটি নয়, সম্পত্তির পরিমাণ ১০৭-১১৫ কোটি। কোটিপতি হয়েও তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। অনায়াসেই দিদি মতো আপন করে নিতে পারতেন সকলকেই।গাড়ীর শখ লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) বহুদিনের তাঁর গ্যারেজে ছিল গাড়ির দুর্দান্ত সংগ্রহ। লতা মঙ্গেশকরের বাড়ি ‘প্রভুকুঞ্জে’র গ্যারাজে ছিল বেশ কিছু সেরা এবং স্টাইলিশ গাড়ি। একাধিকবার সাক্ষাৎকারে গাড়ির প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা বলেছেন লতা। কেরিয়ারের শুরুতেই তাঁর ছিল একটি শেভরলে গাড়ি। যেটি তিনি কিনেছিলেন মায়ের নামে। তারপর যশ চোপড়ার তরফে তাঁকে একটি মার্সিডিজ উপহার দেওয়া হয়।
লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “যশ চোপড়া আমার খুব কাছের উনি আমাকে নিজের বোনের মতো ভালোবাসতেন,ভীষণ স্নেহ করতেন তিনি আমাকে। Veer Zara ছবির সময় উনি এই গাড়ির চাবিটি হাতে দেন,সেই গাড়িটি এখনও রয়েছে আমার কাছে।”

বিয়ে প্রসঙ্গে লতা বলেছিলেন, ‘একমাত্র আমার মা আমার বিয়ে নিয়ে জোরাজুরি করতেন, একসময় তিনিও হাল ছেড়ে দেন। আমার কাছে আমার পরিবার বিয়ের চেয়ে বেশি জরুরি ছিল। কিন্তু এমনটা অস্বীকার করব না যে আমাকে কোনও দিন একাকিত্ব ঘিরে ধরেনি, তাহলে তো আমি মানুষই হতাম না। বিবাহিত হোন কিংবা সিঙ্গেল, একাকিত্ব সবার জীবনে আছে। কখনও কখনও এই একাকিত্ব ক্ষতিকারক হয়। তবে বলব, আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে ভালোবাসার মানুষেরা আমার আশপাশে সব সময় থেকেছে।’

লতা মঙ্গেশকর আজ ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ১২ মিনিটে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ৯২ বছর বয়সে স্বজনসহ অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

# সূত্রঃ এই সময়

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.