--- বিজ্ঞাপন ---

এক বছরে সৌদিআরবের এক কোম্পানীর তেল বিক্রির আয় ১১০ বিলিয়ন ডলার

0

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘আরামকো’ গত এক বছরে প্রায় ১১০ বিলিয়ন ডলারের নীট মুনাফা অর্জন করেছে। যা কিনা সারা বিশ্বের মধ্যে একক কোন সর্বোচ্চ আয় অর্জনকারী কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে সৌদি ভিত্তিক এই ‘আরামকো’ কোম্পানি।

বর্তমানে সৌদি ভিত্তিক ‘আরামকো’ কোম্পানির মোট সম্পদ বা ক্যাপিটাল ভ্যালুর পরিমাণ প্রায় ২.৪ ট্রিলিয়ন ডলার বা ২,৪০০ বিলিয়ন ডলারের সীমাকে অতিক্রম করে ২০২১ সালের শেষের দিকেই। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপে বিশ্ব জ্বালানি তেলের বাজারে চরম অস্থিরতা বিরাজ করলেও অপরিশোধিত পেট্রোল প্রডাক্টস এবং গ্যাস রপ্তানি করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে যাচ্ছে সৌদি আরবের এই রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।

সৌদি আরব চলতি ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রতিদিন গড়ে ৭.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করেছে। যেখানে দেশটি গত জুন মাসে প্রতিদিন গড়ে ৬.৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেল বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করেছিল। আর প্রতি ব্যারেল তেলের গড় আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ৯৬ ডলার হিসেবে গত জুলাই মাসে সৌদি আরব সারা বিশ্বে মোট তেল রপ্তানি করে আনুমানিক ২২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বিশ্ব বাজারে তেলের রপ্তানির চাহিদা, পরিমাণ ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সৌদি আরবের মোহাম্মদ বিন সালমান শাসিত সরকার থার্ড পার্টির মাধ্যমে রাশিয়া থেকে একেবারে স্বল্প মূল্যে ক্রুড ওয়েল বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্র‍য় করে তা আবার সাথে সাথেই জাহাজ বদল করে ক্রেতা দেশের কাছে রপ্তানি করেছে বা এখনো পর্যন্ত তা করে যাচ্ছে।

এভাবে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের শুরু থেকেই নজিরবিহীন ভাবে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। চলতি ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী সৌদি আরবের কাছে ৪৫১.৫৯ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল এবং দেশটির নমিনাল জিডিপির আকার ১.০৫ ট্রিলিয়ন ডলার।

আবার ২০২২ সালের প্রথম কোয়ার্টারে দেশটির নন ওয়েল এক্সপোর্ট গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯% বৃদ্ধি পেয়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের সীমাকে স্পর্শ করেছে।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.