--- বিজ্ঞাপন ---

জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ এর আলোয় পাল্টে যাচ্ছে সন্দ্বীপের চিত্র

0
আব্দুর রহমান ইমন, সন্দ্বীপ থেকে #
দেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপন্ঞ্চল সন্দ্বীপ দীর্ঘদিন ধরে নানান কারণে উন্নয়নে পিছিয়ে ছিল। বর্তমানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সরবারহের পর পাল্টে যাচ্ছে সন্দ্বীপের চিত্র। তৈরি হচ্ছে অনেক সম্ভাবনা।একসময় নদী ভাঙ্গণের কারণে এই জনপদ ছেড়ে চলে যান অনেকেই, বিদ্যুৎের আলোয় আলোকিত হওয়ার পর আবার মানুষ ফিরতে শুরু করছে নিজ ঠিকানায়।
বিদ্যুৎের আলো পৌঁছে গেছে সন্দ্বীপের প্রত্যান্ত অন্ঞ্চলে। ঘরে বাহিরে সর্বত্র এখন বিদ্যুৎের আলো। ফলে ইন্টারেন্টের মাধ্যমে পুরো বিশ্বের সাথে সংযোগ দ্বীপের বাসিন্দাদের।ধীরে ধীরে ভাড়ছে ক্ষুদ্র কল কারখানা, বাড়ছে নানান সম্ভাবনা। যেখানে হতে পারে পর্যটন শিল্পের মত গুরুত্বপূর্ন খাতের বিকাশ। স্কুল কলেজ সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সুবিধা পাচ্ছে এই বিদ্যুৎের। একই সাথে সুবিধা বাড়তে পারে কৃষি, মৎস ও গবাদি পশু খাতে।
স্কুল শিক্ষার্থী কাজী কারিমা বলেন, একসময় আমরা অসহনীয় গরমের মধ্যে স্কুলে ক্লাস করতে হতো। বিদ্যুৎ আসাতে এখন আমরা বৈদ্যুতিক পাখার বাতাসে ক্লাস করতে পারি এবং শিক্ষকরা সহজে আমাদের পাঠদান করাতে পারেন। এছাড়াও বাড়িতে গিয়েও রাতে আমরা লাইটের আলোতে পড়তে পারি।
বিদ্যুৎ আসার সুফল নিয়ে খামারি সাজ্জাদ আরমান বলেন, একসময় আমাদের জেনারেটর সাহায্যে খামারে আলো দেওয়া লাগতো এবং অন্যান্য কাজ করা লাগতো। এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যেতো। বিদ্যুৎ আসাতে আমরা এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাববহার করে কম করচে ডিম, মুরগী উৎপাদন করতে পারি। ফলে আমরা পূর্বের চেয়েও অধিক লাভবান হচ্ছি।
শুধু শিক্ষাখাত, কৃষি খাত কিংবা মৎসখাতে নয়, বিদ্যুৎ সংযোগে এখন সন্দ্বীপের প্রত্যেকটা অফিস আদালতে সহজেই কার্যক্রম করতে পারেন।
২০১২সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্দ্বীপ সফর কালে দ্বীপবাসিকে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণভবন থেকে উদ্বোধন করেন তিনি নিজেই।##
আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.