--- বিজ্ঞাপন ---

ধর্ষকদের জনসমক্ষে পিটিয়ে মারা’ উচিত, রাজ্যসভায় জয়া বচ্চন

0

ভারতে একের পর এক ধর্ষনের শিকার হচ্ছেন নারীরা। শুধু ধর্ষন নয়, কাউকে কাউকে নির্মভাবে হত্যাও করা হচ্ছে। ধর্ষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। যার কারনে ভারতর পর্যটন শিল্পে এর প্রভাব পড়ছে। তেলেঙ্গনা রাজ্যে এক তরুরী চিকিৎসককে ধর্ষন ও নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগে এবার ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন ভারতের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়াবচ্চন। তিনি ভারতের কিংবদন্তী অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী। ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, জয়া বলেছেন, দোষীদের ‘জনসমক্ষে পিটিয়ে মারা’ উচিত। তেলঙ্গানায় তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে সোমবার সংসদে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যসভার সাংসদ জয়া বচ্চন। এ দিন লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সরকার ও বিরোধী সব পক্ষের সাংসদরাই এই ধর্ষণকাণ্ডের তীব্র নিন্দায় সরব হন। প্রয়োজনে আরও কঠোর আইন আনতে প্রস্তুত সরকার পক্ষও। লোকসভার পক্ষ থেকে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রুখতে সংসদ আলোচনায় প্রস্তুত।’’ অন্য দিকে জয়া বচ্চনের এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকদের একটি অংশ।

বুধবার রাতে তেলঙ্গানায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ওই চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতোই ধৃতদের কঠোরতম শাস্তির দাবি উঠেছে সারা দেশ থেকে। এ বার তার আঁচ লাগল সংসদেও।

সোমবার রাজ্যসভা এবং লোকসভা উভয় কক্ষেই এই গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ড নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন বিরোধীরা। সেই আলোচনাতেই রাজ্যসভায় সমাজবাদী পার্টি সাংসদ জয়া বচ্চন বলেন, ‘‘এই ধরনের লোকদের জনসমক্ষে নিয়ে আসা উচিত এবং পিটিয়ে মারা উচিত।’’

রাজ্যসভায় বক্তব্যের সময় কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জয়া। ধরা গলায় বলতে থাকেন, আমি জানি না, কত বার এই ধরনের অপরাধের জন্য বলতে উঠেছি। আমি মনে করি এ বার সময় এসেছে। নির্ভয়া হোক বা কাঠুয়া কিংবা তেলঙ্গানা—মানুষ চায়, সরকার এর সঠিক ও নির্দিষ্ট জবাব দিক। আমি মনে করি, এটাই আদর্শ সময়।’’ পরের মুহূর্তেই এক গুচ্ছ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জয়া বলেন, ‘‘সরকার কী করেছে? কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে? নির্যাতিতারা কি বিচার পেয়েছেন? কারও নাম নিতে চাই না। কিন্তু এর জন্য কি নিরাপত্তা দায়ী নয়? আমার মনে হয়, এক দিন আগেও তেলঙ্গানায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। তার পরেও কেন আটকানো গেল না?’’### ২.১২.১৯

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.