--- বিজ্ঞাপন ---

রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনিকে বিষাক্ত বিষ দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে, বলছে জার্মানি

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক##

কোমায় আছেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে চায়ের সঙ্গে বিষ খাইয়েই নাভালনিকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তার প্রমাণও নাকি পাওয়া গেছে। আরে এ তথ্য জানান দিল  জার্মানি। বিষাক্ত রাসায়নিক নোভিচক নার্ভ এজেন্ট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল নাভালনির চায়ে। এই রাসায়নিক বেশিমাত্রায় শরীরে ঢুকলে সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গকেই অকেজো করতে শুরু করে। নাভালনির ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে।

জার্মান চান্সেলন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল বুধবার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালিনকে ষড়যন্ত্র করেই খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। সোভিয়েত যুগে রাশিয়া বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি করে। সে বিষাক্ত বিষ বলে খ্যাত নোভিচকই খাওয়ানো হয়েছে নাভালনিকে।

বার্লিনের হাসপাতালেএখনও কোমায় রয়েছেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষবার্লিনের হাসপাতালে এখনও কোমায় রয়েছেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও এখনও কোমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। জার্মান চান্সেলর বলেছেন, বার্লিন হাসপাতালের অনুরোধেই জার্মানির সেনা হাসপাতালে নাভালনির শরীর থেকে নেওয়া নমুনার পরীক্ষা চালানো হয়। তাতেই নোভিচক নার্ভ এজেন্টের খোঁজ মিলেছে। তাছাড়াও নাভালনির একাধিক শারীরিক পরীক্ষাতেও বিষপ্রয়োগের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

১৯৭০-৮০ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে নোভিচক নামক বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ব্রিটেনের সলসবারিতে রাশিয়ার গুপ্তচর সার্জেই স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়াকেও বিষাক্ত নোভিচক রাসায়নিক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার জন্য ব্রিটেন সরকার শুরু থেকেই রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে।রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ নাভালনি। ৪৪ বছরের নাভালনিকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর মুখপাত্র কিরা ইয়ার্মিস্ক। কিরা জানিয়েছিলেন, সাইবেরিয়ার তোমাস্ক শহর থেকে বিমানে মস্কো আসছিলেন নাভালনি। বিমানবন্দরে তিনি এক কাপ চা খান। তার পরেই বিমানে উঠে মাঝআকাশে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ঘামতে শুরু করেন। তার পরেই বিমানের শৌচাগারে যান আর সেখানে অচেতন হয়ে পড়েন।

নাভালনি অ্যান্টি করাপশান ফাউন্ডেশন নামে এক সংস্থার প্রধান ছিলেন। সেই সংগঠনের আইনি শাখার সদস্য ভায়াশিলভ গিমাদি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্যই নাভালনিকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। নাভালনির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, কারা হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল জানার জন্য তদন্ত হোক।

এর আগেও নাভালনির ওপরে দুষ্কৃতীরা হামলা করেছিল। ২০১৭ সালের দুষ্কৃতীরা তাঁর মুখে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ছুড়ে মারে। গত বছর অগস্ট মাসে ‘বেআইনি প্রতিবাদ সমাবেশে’ নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে নাভালনি বন্দি হয়েছিলেন। পুলিশ হেপাজতে তাঁর হাতে র‍্যাশ বেরিয়েছিল। চিকিৎসকরা অবশ্য বলেছিলেন, তাঁর অ্যালার্জি হয়েছে। কিন্তু নাভালনি দাবি করেছিলেন, তাঁর শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে।##৩.৯.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.