--- বিজ্ঞাপন ---

শীর্ষস্থানিয় ১ হাজার ২০০ জঙ্গির নাম প্রকাশ করেছে পাকিস্তান

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক###

পাকিস্তান শীর্ষস্থানিয় ১ হাজার ২০০ জঙ্গির নাম প্রকাশ করেছে। পাকিস্তান ইন্টালিজেন্স এজেন্সি এ নামগুলো ফলাও করে প্রচার করে। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম এটি ফলাও করে প্রচার করেছে। সবখানে স্থান পেয়েছে শীর্ষ জঙ্গি আমজাদ খানের নাম। যে আমজাদ খান ভারতের মুম্বাই এ বোমা বিস্ফোরনের সাথে জড়িত। দাউদ ইব্রাহিমের নাম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় বেশি সংখ্যক ৭৩৭ জনের নাম রয়েছে যাদের বাড়ী খাইবার পাখতুয়া এলাকায়। ১৬১ জঙ্গি রয়েছে বেলুচিস্থানের।

 বর্তমান লেখে, পুলওয়ামা হামলার পিছনে ইসলামাবাদের ভূমিকার কথা সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের এক মন্ত্রী। তাও আবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে। এবার ইমরান খান সরকারের তরফে এল আরও বড় স্বীকারোক্তি। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) মেনে নিল, ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত ছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরাই।
বুধবার জঙ্গিদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এফআইএ। সেখানে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ জঙ্গির নাম। সেই তালিকাতেই রয়েছে মহম্মদ আমজাদ খানের নাম। এফআইএ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মুম্বই হামলায় ব্যবহৃত নৌকাটি কিনেছিল এই আমজাদ খানই। নৌকাটি চালানোর দায়িত্বে ছিল শাহিদ গফুর। এছাড়াও ওই নৌকায় ছিল মুম্বই হামলার জড়িত আরও বেশ কয়েকজন। তাদের নাম মহম্মদ উসমান, আতিক-উর-রেহমান, রিয়াজ আহমেদ, মহম্মদ মুস্তাক, মহম্মদ নইম, আবদুল শকুর, মহম্মদ সাবির ও শাকিল আহমেদ। যদিও মুম্বই হামলার মূল চক্রী হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তালিকায় নাম নেই লস্কর-ই-তোইবা প্রধান হাফিজ সইদের। তালিকায় নাম রাখা হয়নি আরও এক মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিমের। উল্লেখ নেই জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারেরও। অথচ গত বছর পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পিছনেও জড়িত ছিল মাসুদ আজহার।
এফআইএ প্রকাশিত তালিকায় পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের জঙ্গিদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বালুচিস্তানের ১৬১ জন, খাইবার পাখতুওয়ার ৭৩৭ জন, সিন্ধের ১০০ জন, পাঞ্জাবের ১২২ জন, ইসলামাবাদের ৩২ জন ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৩০ জন জঙ্গির নাম রয়েছে।

সংবাদ প্রতিদিনের লেখে, পাকিস্তান (Pakistan) মেনে নিল ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার (26/11 Mumbai terror attack) সঙ্গে জড়িত ১১ জন জঙ্গি তাদের দেশেই রয়েছে। বুধবার শীর্ষ পাক গোয়েন্দা সংস্থা FIA দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। মোট ১২১০ জনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। যার অন্যতম ওই ১১ জন জঙ্গি (Terrorists), যারা ২৬/১১ হামলার চক্রী ছিল। শুধু তাই নয়, তাদের সন্ধান দিলে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।

এদের অন্যতম মুলতানের মহম্মদ আমজাদ খান। যে বোটে করে জঙ্গিরা এসেছিল সেই বোটটি কেনার সঙ্গে আমজাদই যুক্ত ছিল। পাশাপাশি একটি মোটর বোট ইঞ্জিন, লাইফ জ্যাকেট ইত্যাদিও কিনেছিল সে। তালিকার আরেকজন ভাওয়ালপুরের শাহিদ গফুর। সে হামলায় ব্যবহৃত বোট দু’টির চালক ছিল। এই দু’জন ছাড়াও আরও ৯ জনের নাম রয়েছে। এরা সকলেই ছিল ওই বোটের ক্রু সদস্য। এই ১১ জনই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। ৮৮০ পাতার এই তালিকায় অবশ্য হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার কিংবা দাউদ ইব্রাহিমের নাম নেই। প্রসঙ্গত, হাফিজ সঈদই ২৬/১১ হামলার প্রধান‌ চক্রী। এদিকে মাসুদ আজহার জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি দলের প্রধান এবং পুলওয়ামা হামলার পরিকল্পনাকারী। পুলওয়ামা হাম‌লার পরে তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেওয়া হয়। কিন্তু এদের নাম পাকিস্তানের তালিকায় নেই। আর দাউদ ইব্রাহিমের ক্ষেত্রে পাকিস্তান কোনও দিনই মেনে নেয়নি সে তাদের দেশে লুকিয়ে আছে। যদিও দাউদের করাচিতে থাকার বিষয়টি ওয়াকিবহাল মহল বহুদিন ধরেই জানে। এমনকী, রাষ্ট্রসংঘের জঙ্গি তালিকায় করাচির বাসিন্দা হিসেবে দাউদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন জঙ্গিদের এই দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ করল পাকিস্তান‌? অতীতে বারবার তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের আঁতুরঘর হয়ে ওঠার অভিযোগ উঠলেও এড়িয়ে গেছে তারা। কিন্তু পরিস্থিতি এখন বেশ প্রতিকূল। FATF-এর ধূসর তালিকা থেকে বেরতে মরিয়া ইসলামাবাদ। আন্তর্জাতিক আর্থিক দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক এই সংস্থার ধূসর তালিকায় গত মাসেও রেখে দেওয়া হয় পাকিস্তানকে। পাকিস্তান বুঝে গিয়েছে, এই তালিকা থেকে বেরতে হলে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে তাদের। সম্ভবত সেই কারণেই বুধবারের এই তালিকা প্রকাশ। ###১৩.১১.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.