--- বিজ্ঞাপন ---

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় বুরেভি

ধেয়ে আসছে ভারতের কেরলের দিকে

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের তামিলনাড়ু ও পুদিচেরিতে ঘূর্ণিঝড় নিভারের তান্ডব যেতে না যেতে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এবার ভারতের কেরলের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’ বলে জানা গেছে। ভারতের কেরল সরকার এরই মধ্যে প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে কেরল আর কন্যাকুমারিতে। বৃষ্টি বন্ধ হয়নি তামিলনাড়ুতেও।

এর মধ্যে কেরলে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে রবিবার থেকেই।  বলা হচ্ছে নিম্নচাপ আরও ঘণীভূত হবে। এর পরে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। শক্তি বাড়িয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে দক্ষিণের উপকূলে। নিভারের মতোই ভয়ঙ্কর তাণ্ডব দেখাতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ও। এই ঝড়ের নাম বুরেভি। এই নাম দিয়েছে মালদ্বীপ।

আবহাওয়া দফতর থেকে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসারে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। এর জেরে তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরি, কারাইকাল, অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণ উপকূল ও লক্ষ্যদ্বীপে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর অবধি তুমুল বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গেই থাকবে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠা নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেওয়ার পরে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিমে গতি বাড়াবে

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘বুরেভি’-তে পরিণত হয়ে আছড়ে পড়তে পারে কেরলের স্থলভাগে, তেমনই সতর্কতা জারি করেছে দিল্লির আবহাওয়া অফিস। ইতিমধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী সতর্কবার্তা জারি করেছেন। তিনি উদ্ধারকাজের জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন নৌ বাহিনীকে, তৈরি রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার, নৌকা। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা-রাতে এই ঘূর্ণিঝড়টি শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে। তার পর এটি বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ কন্যাকুমারীতে আছড়ে পড়তে পারে।

ইতিমধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সাতটি বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কেন্দ্রের থেকেও উদ্ধার কাজ চালানো ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজের জন্য সাহায্য চাওয়া হয়েছে।আইএমডি-এর পক্ষ থেকে বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘দক্ষিণ তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ কেরল উপকূলে নজর রাখতে হবে। বঙ্গোপসাগেরর দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। এটি ক্রমে অতিগভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে’। এখনও পর্যন্ত যা পূর্বাভাস, তাতে শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালি এলাকা দিয়ে ডিসেম্বরের ২ তারিখ সন্ধ্যা-রাত্রিতে এই ঝড় বয়ে যাবে। এর পর ডিসেম্বরের ৩ তারিখে কোমোরিন এলাকা থেকে এই ঝড় সরে যাবে আরও পশ্চিমে। সেই কারণেই কেরল ও তামিলনাড়ুর আশঙ্কার কারণ রয়েছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.