--- বিজ্ঞাপন ---

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা

0

 

আবদুল্লাহ আরাফাত

অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের পরিচিত দেশ নিউজিল্যান্ড। দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দেশটি মূলত দুইটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। ২০২০ সালের বৈশ্বিক মানব উন্নয়ন সূচকে নিউজিল্যান্ডের অবস্থান চৌদ্দতম । বিশ্বের সুখী দেশ সমূহের তালিকায় বর্তমান অবস্থান আটে। দেশটির রাজধানী ওয়েলিংটন শহর বিশ্বের তৃতীয় সুখী শহরের খেতাবে ভূষিত হয়েছে। অর্থনৈতিক সূচকে ও অগ্রগতিতে দেশটি বেশ ভালো অবস্থানে আছে। দেশটিতে জাসিন্ডা আর্ডানের উদারপন্থী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ব জুড়ে এর পরিচিতি বিভিন্ন কারণে বৃদ্ধি পেতে থাকে। মহামারী করোনা ভাইরাসের ( কোভিড ১৯) মধ্যেও দেশের জনগণকে নিরাপদে রাখার যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া, নিম্ন অপরাধ প্রবণতা, কম বেকারত্ব, সুন্দর সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কারণে দেশটি বিশ্বজুড়ে শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিত। তাই, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দেশটি নানান দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন আদর্শ ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

ঐতিহ্যগত কারণে দেশটিতে চীনের শিক্ষার্থী সংখ্যা সর্বাধিক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে তারা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল একটা দেশে তরুণ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সর্বাধিক। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে নিউজিল্যান্ড হতে পারে অন্যতম সেরা গন্তব্যস্থল।

উচ্চ শিক্ষার ধরণ

নিউজিল্যান্ডে ১৮ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকে বলা হয় ‘টারশিয়ারি শিক্ষা’। নিউজিল্যান্ডে বছরে দুই সেমিস্টারে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়। ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে শুরু হয় প্রথম সেমিস্টার এবং জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় সেমিস্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটও রয়েছে। নিউজিল্যান্ডে সরকারি অর্থায়নে আটটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয়। কিউএস র‍্যাংকিং , টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাংকিং-এ নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবসময় উপরের সারিতেই অবস্থান করে।

· অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি [https://www.aut.ac.nz/study-at-aut/international-students?]

· ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ড [https://www.auckland.ac.nz/en/study/international-students.html]

· ম্যাসেই ইউনিভার্সিটি [https://www.massey.ac.nz/massey/international/international_home.cfm?utm_source=study%20in%20nz%20site&utm_medium=referral&utm_ca]

· ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন [https://www.wgtn.ac.nz/international?utm_source=studyinnewzealand_govt_nz&utm_medium=referral&utm_content=more_information&utm_campaign=sinz_traffic]

· ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইকাতো [https://www.waikato.ac.nz/international/]

· ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবারি [https://www.canterbury.ac.nz/international/?utm_source=StudyinNZ%20Referral&utm_medium=Site&utm_campaign=StudyinNZ_site]

· লিংকন ইউনিভার্সিটি [https://www.lincoln.ac.nz/?utm_source=ENZ&utm_medium=ENZ&utm_campaign=ENZ&utm_term=ENZ&utm_content=ENZ&utm_source=ENZ&utm_medium=ENZ&utm_campaign=ENZ&utm_term=ENZ&utm_content=ENZ]

· ইউনিভার্সিটি অব অটাগো [https://www.otago.ac.nz/international/future-students/index.html?utm_source=StudyinNZ%20Referral&utm_medium=Site&utm_campaign=StudyinNZ_site]

সেমিস্টার ফি

স্নাতক (ব্যাচেলর) ও দুই বছরের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শ্রেণীতে পড়াশোনার জন্য টিউশন ফি দেয়া লাগে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফি কম বেশী হতে পারে। উচ্চশিক্ষায় সেমিস্টার ফি নিউজিল্যান্ড সরকারের অন্যতম আয়ের উৎস। পিএইচডি করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন বৃত্তির ব্যবস্থাও আছে। বৃত্তিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তি, সম্মানসূচক কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ, নিউজিল্যান্ড আন্তর্জাতিক ডক্টরাল গবেষণা বৃত্তি (NZIDRS), এনজেড-গ্র্যাডস নিউজিল্যান্ড গ্লোবাল রিসার্চ অ্যালায়েন্স ডক্টরাল স্কলারশিপ, নিউজিল্যান্ড এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (এনজেডএআইডি) পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ ও এনজেডএআইডি শিক্ষা বৃত্তি ইত্যাদি।

পড়াশোনার বিষয়

ব্যবসায় প্রশাসন, একাউন্টিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি, মানবিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশ ভালো অবস্থানে আছে। ২০২০ সালের কিউএস বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং-এ নিউজিল্যান্ডের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় উপরের সারিতেই ছিল।

কাজের সময়

পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের সুযোগ দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বড় বড় শহরগুলোতে কাজের সুযোগ সবচেয়ে বেশী ছোট শহরের তুলনায়। পূর্ণকালীন ছুটির সময়ে কাজ করা যায় পুরো সময়।

ভর্তির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ইংরেজি ভাষার দক্ষতা সনদ আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ভেদে আইইএলটিএস স্কোর কম বেশী হতে পারে। সাধারণত ৬/ ৬.৫ এর অধিক পেতেই হবে। এর কম হলে ভর্তি হওয়া দুরূহ হয়ে যাবে। মাস্টার্সে ভর্তির জন্য ব্যাচেলরে ভালো সিজিপিএ থাকা বাঞ্চনীয়। পরিষ্কার উদ্দেশ্য সমেত ভালো মোটিভেশনাল লেটার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে এক ধাপ এগিয়ে রাখে। প্রাতিষ্ঠানিক সনদের সত্যায়িত কপিও অনেক সময় হাইকমিশন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হয়।

যেভাবে আবেদন করবেন

উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিস্তারিত তথ্য পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন https://www.studyinnewzealand.govt.nz/how-to-apply/ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটে তথ্য পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে বসে সরাসরি তথ্য পেতে বিশ্বস্ত মাধ্যম হতে পারে ‘আইডিপি বাংলাদেশ’। লিংকঃ https://www.idp.com/bangladesh/study-in-new-zealand/scholarships/

হাইকমিশনের ঠিকানা

বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডের কোন হাইকমিশন কিংবা দূতাবাস নেই। ভারত থেকে তারা তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ভিসা সংক্রান্ত কাজ পরিচালনা করে থাকে।

লিংকঃ https://www.mfat.govt.nz/en/countries-and-regions/south-asia/india/new-zealand-high-commission/

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.