--- বিজ্ঞাপন ---

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার জন্য জাতিসংঘে আবেদন

দুই শতাধিক এনজিও ও মানবাধিকার সংস্থা র উদ্যোগ

0

মিয়ানমারে সাধারণ মানুষের ওপর সামরিক জান্তা সরকারের ব্যাপক নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রায় দুই শতাধিক এনজিও ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোচ্চার হয়েছে। তারা  জাতিসংঘের কাছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বড় ধরণের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে। মুলত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের নেতৃত্বে জাতিসংঘ বরাবর একটি খসড়া প্রস্তাবনা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের দাবি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মিয়ানমারের অস্ত্র বানিজ্য এবং আমদানির সকল পথ বন্ধ করে নিষেধাজ্ঞা আইন পাশ করা হয়।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা করছে সেনা সদস্যরা। তাদের যথেচ্ছ অস্ত্র ব্যবহার বন্ধেই আরোপ করা প্রয়োজন এ নিষেধাজ্ঞা।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর করা সম্ভব হলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের কাছে বিশ্বের কোন দেশই ভারী অস্ত্রতো দূরের কথা একটি বুলেটও বিক্রি করতে পারবে না। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের প্রশ্রয় দাতা রাশিয়া এবং চীনের বিরোধিতা এবং ভেটো প্র‍য়োগের প্রবল সম্ভাবনা থাকায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আপাতত এই ধরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেনা জাতিসংঘ।

আসলে চলতি ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারিতে এক বিতর্কিত সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সূচি সরকারের বিলুপ্তি ঘটিয়ে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই সারা মিয়ানমারে ব্যাপক গণ আন্দোলন শুরু হলে তা কঠোরভাবে দমনে মাঠে নামে সেনারা। ফেব্রুয়ারী থেকে চলা এখন পর্যন্ত ভয়াবহ সহিসংতায় মিয়ানমারে প্রায় এক হাজার সাধারণ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন এবং সারা দেশে ৫ হাজারের কাছাকাছি প্রভাবশালী নেতা এবং সাধারণ মানুষঅকে বন্দি করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.