--- বিজ্ঞাপন ---

ইসরায়েলে সরকার গঠনে ব্যর্থ নেতানিয়াহু!

0

সরকার গঠন করতে পারলেন না নেতানিয়াহু। প্রেসিডেন্ট এখন অন্য দলকে সরকার গঠন করার জন্য ডাকবেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে তাকে সরকার গঠন করতে হতো। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায় প্রেসিডেন্টের অফিসকে নেতানিয়াহু জানিয়ে দিলেন, তিনি সরকার গঠন করতে পারবেন না। এবার প্রেসিডেন্ট অন্য দলকে সুযোগ দেবেন। তারা যদি পারে, তাহলে ১২ বছর পর বিরোধী আসনে বসবেন নেতানিয়াহু এবং তার দলের নির্বাচিত সদস্যরা!
কে সরকার গঠন করতে পারে?
প্রেসিডেন্ট রিভলিন এবার ইয়াইর ল্যাপিদকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। তিনি এখন জোট সরকার গঠন করার চেষ্টা করবেন। তিনি সাবেক টিভি অ্যাঙ্কর এবং নেতানিয়াহুর তীব্র বিরোধী।
এছাড়া নেতানিয়াহুর সাবেক জোটসঙ্গী বেনেট আছেন, তিনি দক্ষিণপন্থি দলের নেতা। তাকেও প্রেসিডেন্ট সরকার গঠনের জন্য ডাকতে পারেন।
ইসরায়েলে গত দুই বছরে চারবার ভোট হয়েছে। নেতারা জোট গঠন করতে হিমশিম খেয়েছেন। শেষ নির্বাচন হয়েছে গত মার্চে। কোনো দল যদি সরকার গঠন করতে না পারে, তাহলে দুই বছরে পাঁচবার ভোট হবে ইসরায়েলে।
২০০৯ সাল থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ৭০ বছর বয়সী এই নেতা ইসরায়েলে সব চেয়ে বেশি দিন ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্তও তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীতে ছিলেন। তার আগে তিনি অ্যামেরিকার এমআইটি-তে আর্কিটেকচার নিয়ে পড়েছেন।
ইরান ও ফিলিস্তিন নিয়ে তার নীতি ছিলো খুবই কড়া।

তিনি বারবার বলেছেন, ইরান পরমাণু বোমা বানাতে চাইছে এবং ইসরায়েল তা হতে দেবে না। তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রেরও বিরোধী। তার বিরুদ্ধে এখন দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগের বিচার চলছে। তিনি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগের ফলে তিনি বেকায়দায় পড়েছেন।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে তাকে ইসলামপন্থি ইউনাইটেড অরব লিস্ট (ইউএএল) এবং চরম ডানপন্থি জিওনিস্ট পার্টির সমর্থন দরকার ছিলো। কিন্তু জিওনিস্ট পার্টি জানিয়ে দিয়েছে, তারা কিছুতেই ইউএএলের সাথে হাত মেলাবে না। ফলে নেতানিয়াহুর পক্ষেও জোট গঠন করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.