--- বিজ্ঞাপন ---

কে হচ্ছেন আগামী রোটারী গর্ভনর

৪ জন প্রার্থী, লড়াই হবে দু’জনের মধ্যে

0

কে হচ্ছেন পরবর্তি রোটারী গর্ভনর। এবার ৪ প্রার্থীর মধ্যে তিন জনই চট্টগ্রামের।  আগামী ২০২২-২৩ সালের গভর্নর হওয়ার জন্য তারা লড়বেন। আগামী ৩ ও ৪ জানুয়ারি ২০২০ সিলেটের কুশিয়ারা কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের মাধ্যমে রোটারীর নতুন নেতা নির্বাচিত হবেন।

রোটারিয়ানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নেতা চট্টগ্রামের প্রার্থীদের মধ্যে কেউ একজন হবেন। চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনি, কুমিল্লা নিয়ে রোটারী জেলা ৩২৮২। পূর্বে সারা বাংলাদেশে একটি জেলা ছিল। তা হলো ৩২৮০। এখন আলাদা হয়ে গেছে। প্রতি এক বছরের জন্য জেলা গর্ভনর নির্বাচিত হন। দু’ বছর আগেই এগুলো নির্ধারিত হয়ে যায়। এবারের নির্বাচনে ১৬৬ ক্লাবের মধ্যে ২৬০ জন ভোটার ভোট দেবেন। রোটারীর ক্ষেত্রে একটা অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে তা হলো, একটি ক্লাব মেম্বার আধিক্যের কারনে অনেকগুলো ভোট দিতে পারে। আর এই নিয়মটি নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

এবারের নির্বাচনে গর্ভনরের জন্য যে ৪ জন প্রার্থী লড়ছেন তারা হচ্ছেন,রোটারি ক্লাব অব চিটাগং ইস্ট এর অতীত সভাপতি রোটারিয়ান অধ্যাপক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, রোটারি ক্লাব অব চিটাগং রিভার শাইন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রোটারিয়ান রুহেলা খান চৌধুরী, রোটারী ক্লাব অব কসমোপলিটনের অতীত সভাপতি রোটারিয়ান ফাতেমা জেবুন্নেসা ও রোটারি ক্লাব অব সিলেট সেন্ট্রাল এর অতীত প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান জিয়াউল হক।

রোটারী জগতের খোজঁ খবর নিয়ে যা জানা গেলো, তাতে বুঝা যাচ্ছে চট্টগ্রামের দু’জন রোটারিয়ান জাহাঙ্গির চৌধুরী ও রোটারিয়ান রুহেলা খানের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হবে। এ দু’জনের জন্য কাজ করছেন পুরানো অভিজ্ঞ রোটারিয়ানরা। বিশেষ করে অতীত গর্ভনরদের কেউ কেউ সার্পোট দিচ্ছেন রোটারীয়ার জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে, আবার কেউ কেউ সাপোর্ট দিচ্ছেন রোটারিয়ান রুহেলা খানকে। তাদের দু’জনের ফাকেঁ নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে অনেকটা ব্যাক্তিগত ইমেজ নিয়ে মাঠে সক্রিয় আছেন রোটারিয়ান ফাতেমা জেবুন্নেছা। তিনি পেশায় শিক্ষক। একটি কলেজের অধ্যাপনার কাজে নিয়োজিত। আবার সিলেটের জিয়াউল হক সিলেট চেম্বারসহ নানা সংগঠনের সাথে যুক্ত। এদের মধ্যে রোটারীয়ান জাহাঙ্গির চৌধুরী পূর্বেও একবার গর্ভনর পদে নির্বাচন করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম আইন কলেজের অধ্যক্ষ। একইসাথে চট্টগ্রাম ডায়বেটিক হাসপাতালের সাথে যুক্ত আছেন। অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে প্রার্থী ৪ জনই পুরানো। তারা সবাই জেলার বড় বড় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রোটারীর জম্ম আমেরিকাতে। সারা বিশ্বে রোটারী ক্লাবগুলো সমাজ সেবার ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। বলা হয়ে থাকে, রোটারীতে যারা নেতৃত্বে দেন তারা সমাজ ও দেশেরও নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশে রোটারী বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে পলিও শূন্য করার কাজ সফলভাবে করেছে। এছাড়া সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোটারীয়ানরা অবদান রাখে। রোটারী সংগঠনটি গণতন্ত্রের জন্য একটি নজির। আর তা হলো, রোটারী ক্লাবগুলোর প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। তার জন্য তারা প্রতি বছরের প্রেসিডেন্ট আগের বছরেই নির্বাচিত করে নেন। কারও অতিরিক্ত মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কোন প্রভিশন নেই। আর এসব কিছু নিয়ন্ত্রন করা হয় রোটারী ইন্টারন্যাশনাল থেকে। ### ২১.১২.১৯

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.