--- বিজ্ঞাপন ---

দর্শনকে বলা হয় সকল বিজ্ঞানের মা

আজ বিশ্ব দর্শন দিবস

0

আব্দুল্লাহ আরাফাত ##

আজ বিশ্ব দর্শন দিবস। উচ্চশিক্ষার একমাত্র বিষয়  হিসেবে মানুষের চিন্তার উৎকর্ষতা সাধন ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এর গুরুত্ব অনুধাবন করে ইউনেস্কো ২০০২ সাল থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দর্শন দিবস পালন করে আসছে। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার মানুষের মাঝে এই দিবসটি নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াসে দিবসটি পালন করা হয়। দর্শন এমন একটি গৌরবময় মুকুটের অধিকারী হয়েছে এর অপরিসীম গুরুত্ব ও তাৎপর্যের কারণে। ২০২০ সালের এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে ইউনেস্কো ‘সংকটে দর্শনের প্রয়োজনীয়তাকে’ উপজীব্য করেছে। ইউনেস্কো করোনা মহামারীতে পর্যদুস্ত বিশ্বের সংকটের পাশাপাশি আমাদের যুদ্ধ, সহিংসতা, বৈষম্য, ভারসাম্যহীনতার কারণে সৃষ্ট সংকটের কথাও মনে করিয়ে দেয়। দর্শনের নিগুঢ় বাস্তবিকতা ও নৈতিকথাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এই ধরণের সংকটকে মোকাবেলা করতে পারি।

দর্শনকে বলা হয় সকল বিজ্ঞানের মা। দর্শন (Philosophy / ফিলোসফি) মানেই ‘জ্ঞানের প্রতি ভালবাসা’। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগ রয়েছে। দর্শন মানবপ্রকৃতি, চিন্তা, সংস্কৃতি, যুক্তি, নৈতিকথা, ধর্ম, রাজনীতি, অধিবিদ্যা, নান্দনিকতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করে।

আধুনিক ও সভ্য দেশগুলোর চিন্তা ও চিন্তন উৎকর্ষতা সাধনে দর্শনের ভূমিকা অতুলনীয়। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের সাথে বিভিন্ন বিষয় একত্রে পড়ানো হয়। যেমন, দর্শন ও ব্যবসায়, দর্শন ও অর্থনীতি, দর্শন ও রাজনীতি ইত্যাদি। এত বেশী গুরুত্বপূর্ণ ও মননশীল বিষয় হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মতো তৃতীয়বিশ্বের দেশগুলোতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে দর্শন বিষয়ে পড়া নিয়ে হীনমন্যতা ও দ্বন্দে পড়ে যাওয়ার সংখ্যায় বেশী।

অস্থিতিশীল এই সমাজে শুভবুদ্ধির মানুষের সংখ্যা ও চিন্তার গভীরতা বাড়াতে মানুষের দর্শন সম্পর্কে জানা ও বুঝার চেষ্টা করা উচিত এবং অস্থির এই সময়ে মানুষকে মানবিক বিষয়গুলো আরও বেশী পড়া উচিত৷ এভাবে আমরা ধর্ম-কর্মের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করলে এবং সচেতন হলে আগামীতে আরও সুন্দর ও কার্যকর মানবিক বিশ্ব দেখতে পাবো বলে প্রত্যাশা করা যায়।### ১৮.১১.২০

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.