--- বিজ্ঞাপন ---

ধর্ষন করলে লিঙ্গ অকেজো করে দেয়া হবে

পাকিস্তান সরকারের কঠোর আইন

0

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##

ধর্ষন করলে ইনজেকশনের মাধ্যমে লিঙ্গ অকেজো করে দেয়া হবে। পাকিস্তানে এ ধরনের একটি আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানায়, ধর্ষন বেড়ে যাবার কারনে মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে মা ও মেয়ে ধর্ষন ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয়। দেশে ধর্ষনের হার বেড়ে যাওয়ার কারনে আইন সংশোধন জরুরী হয়ে পড়ে। শেষপর্যন্ত মন্ত্রীসভায় ধর্ষন বিরোধী আইন সংশোধনসহ বিতর্কিত টু’পিঙ্গার টেস্ট নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এ দুটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মন্ত্রীসভায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ধর্ষনের জন্য লিঙ্গ অকেজো করাকে সমর্থন করেন। দ্রুত এ আইনটি কার্যকরার জন্য বলেন। অবশ্য অন্যান্য মন্ত্রীরা উপযুক্ত শাস্তি হিসেবে ফাসিঁ দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম আজতক জানায়, পাকিস্তানে ধর্ষণকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য ইমরান খান সরকার একটি নতুন আইন আনতে চলেছে। এই আইনের মাধ্যমে ধর্ষণকারীদের ইনজেকশনের মাধ্যমে পুরুষত্বহীন করা হবে. চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই প্রক্রিয়াটিকে কেমিক্যাল কাস্ট্রেশন (রাসায়নিক নির্বীজকরণ) বলা হয়। মঙ্গলবারই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই আইনটি করার জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এমনকী শীঘ্রই যৌন নির্যাতনের মামলাগুলির শুনানির কথাও বলেন তিনি.

পাকিস্তানের জিও টিভির তথ্যানুসারে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাকিস্তানের আইন মন্ত্রক এই বিলের খসড়া প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করে। এই বিলের অনেকগুলি খারাপ ও ভাল দিক নিয়ে আলোচনা হয়। তবে এ বিষয়ে কোনও অফিসিয়াল ঘোষণা করা হয়নি। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে পাকিস্তানে. এই প্রেক্ষাপটে পুলিশি ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তনের দাবি করছে একাংশ। পুলিশে মহিলা পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো, ধর্ষণের ঘটনাগুলির দ্রুত শুনানি এবং সাক্ষীদের সুরক্ষা দেওয়ার মত বিষয়েও অনুমোদন দেওয়া হয়।

`The government termed the approval of the Anti-Rape (Inves­tigation and Trial) Ordinance 2020 and Pakistan Penal Code (Amendment) Ordinance 2020 a “big decision” and said it was for the first time in the history of the country that the definition of rape had been changed by incorporating “transgender” and “gang-rape” in it. The proposed law also prohibits controversial “two-finger” test by doctors that involves testing for laxity of vaginal muscles with fingers…’

ইমরান এটাকে গুরুতর বিষয় বলে উল্লেখ করে বলেছেন, নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের কর্তব্য। এব্যাপারে কোনও গাফিলতি তিনি বরদাস্ত করবেন না। আইন দ্রুত পাস হয়ে কড়াভাবে প্রয়োগ হবে বলে মন্তব্য করেন ইমরান। পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নির্যাতিতারা নির্ভয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সুরক্ষা এবং পরিচয় গোপন রাখার দায়িত্ব সরকারের।এই বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন যে রাসায়নিক নির্বীজকরণের কাজ শুরু হবে। পাক প্রধানমন্ত্রী সাফ জানান যে মন্ত্রিসভা তাত্ত্বিকভাবে ধর্ষণে দোষী ব্যক্তিদের জন্য কঠোরতম শাস্তির অনুমোদন দিয়েছে।

উল্লেখ্য, রাসায়নিক নির্বীজকরণ একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় যাতে তার যৌন ক্ষমতা নষ্ট হয়। এই ইনজেকশনগুলি ব্যক্তির হরমোনগুলিকে প্রভাবিত করে এবং তাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।পিটিআই-কে ইসলামিক দেশটির শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পাক আইনসভার সদস্য ফয়জল জাভেদ খান জানান, শীঘ্রই লিঙ্গচ্ছেদ সংক্রান্ত বিলটি পার্লামেন্টে প্রেরন করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে লাহোরে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক ৭ বছরের শিশুকন্যাকে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের জন্য কড়া আইনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.