--- বিজ্ঞাপন ---

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি বিশ্ব সেরা

0

সিরাজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি#

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কিউএস ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪ এর জন্য ২০ এডিশনের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন এই উচ্চস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান র‍্যাংকিং এ এবারো বিশ্বের সেরা প্রথম স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্‌স ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। তবে সেরাদের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ এবং ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্‌স অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে অবস্থিত গবেষণা নির্ভর এই বিশ্ববিদ্যালয়টি পৃথিবীর সব থেকে মর্যাদাপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজের যোগ্য স্থান করে নিয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অভার অল পারফর্মেন্সে ১০০ স্কোরের মধ্যে ১০০ স্কোরই অর্জন করে নিয়েছে। তাছাড়া একাডেমিক রিপিউটেশন, ইমপ্লোয়ার রিপিউটেশন, ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট রেশিও, ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাকাল্টি রেশিও, সিটেইশন পার ফ্যাকাল্টিতে নির্ধারিত ১০০ স্কোরের প্রতিটি সেক্টরেই ১০০ স্কোর অর্জন করেছে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)।

যদিও নির্ধারিত অন্যান্য ক্যাটাগরি যেমন- সাসটেইনেবল ৯৫.২, ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক ৯৪.৩ এবং ইন্টারনযাশনাল স্টুডেন্ট রেশিও ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত ১০০ স্কোরের মধ্যে ৮৮.২ পয়েন্ট পেয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত মোট ছাত্রের সংখ্যা ১১,০৩৫ জন এবং বিদেশী ছাত্রের সংখ্যা ৩,৬২৭ জন। তাছাড়া এখানে কর্মরত শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও স্টাফের সংখ্যা ২,৯১৯ জন।

মূলত আজ থেকে প্রায় ১৬২ বছর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের প্রাথমিক যুগেই ১৮৬১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও মৌলিক গবেষণায় সারা বিশ্বকে এক রকম চমকে দিয়েছে আমেরিকার এই পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়টি। যদিও অবশ্য শুরু থেকেই মার্কিন সরকারের পরিকল্পনা মাফিক প্রতি বছর শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার সুফল পাচ্ছে দেশটি।

বেশ পুরনো এই বিশ্ববিদযালয় থেকে অধ্যায়ন শেষ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানজনক নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী ১০০ জন, বিজ্ঞানের জাতীয় পদক বিজয়ী ৬০ জন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জাতীয় পদক বিজয়ী ৩০ জন, ম্যাকআর্থার ফেলো ৮১ জন এবং এ.এম. টুরিং পুরস্কার বিজয়ী রয়েছেন ১৬ জন। তারা সকলেই কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক শিক্ষা শেষ করে কিংবা গবেষণামূলক কাজে সংশ্লিষ্ঠ থেকে নিজের যোগ্যতায় আমেরিকা ও সারা বিশ্বকে সমৃদ্ধ করেছেন।

তাছাড়া আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ১৮৭৩ সালের ৩১শে মে এই এমআইটি থেকে প্রথম কোন সম্মানিত নারী হিসেবে ইলেন স্যালো রিচার্ড (ব্যাচলর সাইন্স ইন ক্যামিস্ট্রি) স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তাছাড়া তিনি পড়াশোনা শেষে নিজেই একটি সাইন্স ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তিনি নিজেই ইনেস্ট্রক্টর হয়ে ১০০ জন নারীকে স্যানেটারি ক্যামিস্ট্রি, ফুড সাইন্স, ফ্যামিলি এন্ড কনজিউমার সাইন্স, ইকোলজি বিষয়ের উপর পড়াশোনা করিয়ে নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.