--- বিজ্ঞাপন ---

‘ফ্যালকন হেভি রকেট’ মহাকাশে পাঠিয়েছে আমেরিকার স্পেস-এক্স

0

সিরাজুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি#

গত ২৬ই জুলাই আমেরিকার স্পেস-এক্স পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক তাদের ফ্যালকন হেভি রকেট মহাকাশে পাঠিয়েছে। তার সাথে এটি ছিল স্পেস-এক্স এর পাঠানো সপ্তম বারের মতো হেভি রকেট ডেলিভারী মিশন। এর আগে একমাত্র দেশ হিসেবে ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সাবেক সভিয়েত ইউনিয়ন তাদের তৈরি ২,৭৫০ টন ওজনের এন-১/এল-৩ হেভি রকেট ডেলিভারি সিস্টেম ৪ বার মহাকাশে পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে ১৯৭৩ সালে এ প্রজেক্ট বাতিল করে দেয়।

মূলত মার্কিন ধনকুবের ইলান মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস-এক্স এর ফ্যালকন-হেভী রকেট সিস্টেমকে বর্তমানে সার্ভিসে থাকা সারা বিশ্বের মধ্যে স্পেসে পাঠানো হেভী লিফট লঞ্চ ভেহিকল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পূর্ণঃব্যবহার যোগ্য রকেট সিস্টেমের তিনটি কোরে প্রতিটিতে ৯টি করে মোট ২৭টি সুপার এডভান্স রকেট ইঞ্জিন থাকে। যা কিনা একত্রে উৎপন্ন করে প্রায় ২২,৮১৯ কিলোনিউটন বল। যেটি কিনা ৫ মিলিয়ন পাউণ্ডের চেয়েও বেশি।

ফ্যালকন হেভি রকেট মহাকাশে উৎক্ষেপণের সময় উৎপন্ন বলকে ১৮টি ৭৪৭ বোয়িং জেট পরিবহণ বিমানের সমন্বিত বলের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। এখানে ভরের হিসেবটা এভাবে করা যেতে পারে যে, যাত্রী ও মালামালে পরিপূর্ণ একটি সম্পূর্ণ ৭৪৭ বোয়িং পরিবহণ বিমানকে লো আর্থ অরবিটে আনায়াসে নিয়ে যেতে পারবে ফ্যালকন হেভী রকেট ডেলিভারি সিস্টেম।

এই রকেট সিস্টেমের উচ্চতা ৭০ মিটার, ডায়ামিটার ৩.৬৬ মিটার এবং প্রস্থ ১২.২ মিটার। দুই স্টেজের এই রকেট সিস্টেমের ওজন অবিশ্বাস্যভাবে ১৪,২০,৭৮৮ কেজি এবং ম্যাক্সিমাম পেলোড ক্যাপাসিটি ১৬,৮০০ কেজি। ফ্যালকন-হেভীর উড্ডয়নের খরচের হিসেব বিবেচনা করলে এটি একবারের যাত্রা বাবদ খরচ পড়ে ৯০.০০ মিলিয়ন ডলার এবং কেজি প্রতি খরচ পড়ে প্রায় ১,৪০০ ডলার। ‘স্পেস-এক্স’ এর তৈরি এই জাতীয় হেভি রকেট প্রথম মহাকাশে যাত্রা শুরু করে ২০১৮ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি।#

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.